সিবিআই-ইডির ডাক পড়ায় ছোট বিরোধী দলগুলি বিজেপির সাথে আপোষ করছে, তৃণমূলকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করেন, পাঁচ বছর আগেও তৃণমূল গোয়ায় নির্বাচনে লড়েছিল। তারপর কোথায় চলে গিয়েছিল? এখন আবার কেন গোয়ায় ফিরে গেলেন?
রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা
রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাফাইল চিত্র

বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল সমালোচনা করছে কংগ্রেসের। বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলার বদলে নিজেদেরকে অন্যতম বিরোধীপক্ষ বলে প্রচার করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এসব করতে গিয়ে তৃণমূল আসলে বিজেপির হাতে শক্ত করছে। এই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেও বহুবার করেছেন।

কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ইঙ্গিত, তৃণমূল সিবিআই-ইডি-র সামনে ভয় পেতে পারে। কিন্তু সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগানোর বিরোধিতায় তৃণমূলের পাশেই থাকবে কংগ্রেস। উল্টো দিকে, গোয়ায় তৃণমূলের ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তকে ‘নির্বাচনী পর্যটন’ বলেও কটাক্ষ করেছে তারা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ৩০ অক্টোবর মমতার গোয়া সফর চলাকালীন প্রথমবার ভোট প্রচারে যাবেন রাহুল গান্ধী।

যেখানে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই, সেখানেই তৃণমূল গিয়ে তাঁদের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন। এবার সরব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ঢিলেমি মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা মন্তব্য করেন, ‘‘সিবিআই-ইডির ডাক পড়ায় ছোট বিরোধী দলগুলি আপোষ করে নিচ্ছে। কিন্তু বিরোধী নেতানেত্রীদের নিজেদের বিবেক থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘ মমতা নিজে সনিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন, সব সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য। কংগ্রেস সভানেত্রীকে মমতা একটি সাধারণ রণনীতি তৈরি করতেও বলেছিলেন, যাতে দেশ জুড়ে বিজেপি-বিরোধী প্রচার শুরু করা যায়।’’ সুখেন্দুর বক্তব্য, কিন্তু ছ’মাস কেটে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে কংগ্রেস সাড়া দেয়নি।

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করেন, পাঁচ বছর আগেও তৃণমূল গোয়ায় নির্বাচনে লড়েছিল। তারপর কোথায় চলে গিয়েছিল? এখন আবার কেন গোয়ায় ফিরে গেলেন? সুরজেওয়ালা বলেন, ‘নির্বাচন কোনও পর্যটন নয় যে, চার-পাঁচ মাসের জন্য গোয়া গেলেন। তৃণমূল-সহ সকলের অধিকার রয়েছে নির্বাচনে লড়াইয়ের। কিন্তু তাঁদের পুরনো ইতিহাস নিয়ে আত্মসমীক্ষা করতে হবে।'

কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়ে তৃণমূলে টানার অভিযোগের জবাবে সুখেন্দু বলেন, ‘সবাই নিজেদের মতো দল বেছে নিতে পারে বা বদল করতে পারে। কানহাইয়া কুমার সিপিআই থেকে কংগ্রেসে গেলেন। এটা তাঁর সিদ্ধান্ত। একই ভাবে বিজেপি-সহ বিভিন্ন দল থেকে অনেকে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in