মেঘালয়ের পূর্ব-জয়ন্তিয়া পাহাড়ে ১৫০ ফুট গর্তে পড়ে মৃত ৬ অভিবাসী শ্রমিক

স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ কয়লা খনি খননের কাজ করতেন এই শ্রমিকরা। যদিও এই জায়গায় কোনোরকম অবৈধ সক্রিয় কয়লা খনির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে সরকার।
মেঘালয়ের পূর্ব-জয়ন্তিয়া পাহাড়ে ১৫০ ফুট গর্তে পড়ে মৃত ৬ অভিবাসী শ্রমিক
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

মেঘালয়ের পূর্ব-জয়ন্তিয়া পাহাড়ের এক জঙ্গলে ১৫০ ফুট গর্তের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হলো ৬ অভিবাসী শ্রমিকের। শুক্রবার সকালে পাহাড়ের একটি খাদ থেকে শ্রমিকদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ কয়লা খনি খননের কাজ করতেন এই শ্রমিকরা। এঁদের প্রত‍্যেকের বাড়ি অসমে।

যদিও এই জায়গায় কোনোরকম অবৈধ সক্রিয় কয়লা খনির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে সরকার। পূর্ব-জয়ন্তিয়া পাহাড়ের ডেপুটি কমিশনার ই খারমালকি জানিয়েছেন, "দুর্ঘটনাস্থলে কোনও কয়লার স্টক পাওয়া যায়নি, সুতরাং আমরা এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে তাঁরা কোনো পরিত্যক্ত কয়লা খনি খননের চেষ্টা করছিল। তবে সেখানে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল একথা নিশ্চিত করে বলা যায়।"

এর আগেও পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই জেলায় একটি অবৈধ খনিতে খননের কাজে নিযুক্ত থাকা ১৫ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে ন‍্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় থেকে কয়লা উত্তোলন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও সরকারের নাকের ডগা থেকে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলন করে তা পাচার করে দিচ্ছে পাচারকারীরা এবং যা করতে গিয়ে বারবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীরা এই ঘটনা নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও পরিস্থিতি একই রয়ে গেছে। খোলা ট্রাকের পেছনে কয়লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, মেঘালয়ের রাস্তাতে এই দৃশ্য প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। তবে ২০১৪ সালে কয়লা উত্তোলন নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকে রাজ‍্যের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in