

উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদে আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে একাধিক বাড়ি। ২৩ জন সেনা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক।
বুধবার সকালে দক্ষিণ লোনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। যার কারণে তিস্তার জল হঠাৎই ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে। সেনা সূত্রে খবর, ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় জলের স্রোত আসে তিস্তাতে। বুঝে ওঠার আগেই একাধিক সেনা ছাউনি ভেসে যায়। পাশাপাশি তিস্তার পাড় সংলগ্ন একাধিক বাড়িও জলের তোড়ে ভেঙে যায়। ২৩ জন সেনা এখনও নিখোঁজ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্যাংটক, নামচি, পাকিয়ং এবং মঙ্গন জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চার জেলায় আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম প্রশাসন।
শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হলো ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে সেই সড়কের কিছু অংশ জলে ভেসে গেছে। বহু পর্যটক আটকে রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজেও ব্যাহত হচ্ছে। বহু পর্যটকের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
রাজ্য ইকো ট্যুরিজম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, "পর্যটকদের সঠিক সংখ্যা হিসাব করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বহু পর্যটকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের আবেদন, এখনই কেউ রাস্তায় নামার চেষ্টা করবেন না। সাবধানে থাকুন"।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, "সিকিমের চুংথাং হ্রদ পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে তিস্তা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। গাজলডোবা, দোমোহনী, মেখলিগঞ্জের মতো নীচু এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন