
প্রয়াত হলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেন (Shibu Soren)। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শেষ কয়েকদিন ধরে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
শিবু সোরেনের ছেলে তথা ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বাবার মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, "আমাদের প্রিয় দিশোম গুরুজি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আজ আমি সবকিছু হারিয়েছি।"
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সম্প্রতি হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। গত এক মাস ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। আজ সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
চার দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে আটবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন শিবু সোরেন। দু'দফায় রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত শিবু সোরেনের জন্ম রামগড় জেলায়, যা সেই সময় বিহারের অংশ ছিল। বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এ কে রায় এবং কুর্মি মাহাতো নেতা বিনোদ বিহারী মাহাতোর সাথে জোট বেঁধে ১৯৭২ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা গঠন করেছিলেন তিনি। ২০০০ সালে বিহার থেকে আলাদা হয়ে পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের পিছনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
১৯৮০ সালে দুমকা থেকে লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। এরপর এই কেন্দ্রটি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়। ২০১৯ সালে বিজেপির নলিন সোরেন ৪৫,০০০-এরও বেশি ভোটের ব্যবধানে শিবু সোরেনের থেকে জয় ছিনিয়ে নেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখেছেন, ‘‘শিবু সোরেন তৃণমূল স্তরের নেতা ছিলেন। জনগণের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ছিল অটল। জনজীবনের নানা স্তরে উঠে এসেছিলেন তিনি। বিশেষত, উপজাতি সম্প্রদায়, দরিদ্র ও নিপীড়িতদের ক্ষমতায়নের পক্ষে ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন