

দেশের লাভজনক সংস্থাগুলোকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সেই তালিকায় আছে দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা এলআইসি। কিন্তু এই সংস্থার শেয়ার বিক্রিতে যাতে চিন কোনও ভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেই ব্যাপারে যেমন সতর্ক হচ্ছে কেন্দ্র, পাশাপাশি আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সময় সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। যেহেতু সীমান্ত পরিস্থিতি ঠিক নেই, সেই জন্য এলআইসি বিক্রিতে চিনের অংশগ্রহণ আটকাতে চায় কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রায় চারজন শীর্ষ সরকারি আধিকারিক ও এক ব্যাঙ্ক আধিকারিক। এলআইসি বিক্রির মাধ্যমে কেন্দ্র ৯০ হাজার কোটি টাকা তুলতে চায়। তাই চলতি অর্থবর্ষেই এলআইসির প্রথম শেয়ার (আইপিও) বাজারে ছাড়তে চাইছে। সেই হিসাবে এটাই এখনও পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম আইপিও।
এলআইসির এই শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় ২০ শতাংশ বিদেশি লগ্নির দরজা খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে দেশের চলতি আইনে সংশোধনী আনতে পারে কেন্দ্র। অথবা শুধু এলআইসির জন্য পৃথক আইন আনা হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সরাসরি না এসে যদি পরোক্ষে চিনা সংস্থা বিনিয়োগের চেষ্টা করে? তাহলে সরকারের পদক্ষেপ কী হতে পারে, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করেননি ওই আধিকারিকরা।
বিষয়টি আলোচনার স্তরে থাকায় নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘সীমান্ত সংঘাতের পর চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য কখনওই সম্ভব নয়। দু’দেশের মধ্যে অবিশ্বাসের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই।’ তাই এই পরিস্থিতিতে এলআইসির মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় চিনা লগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন