শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ, ৭ লক্ষ কোটি টাকা খোয়ালেন বিনিয়োগকারীরা

বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের জেরেই এই ধস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ 'দশকের পর দশক ধরে শেয়ারের ক্ষেত্রে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি প্রকল্পে জড়িত।'
শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ, ৭ লক্ষ কোটি টাকা খোয়ালেন বিনিয়োগকারীরা
Published on

মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের এক রিপোর্টের পর রক্তাক্ত ভারতীয় শেয়ার বাজার। সূত্র অনুসারে, একদিনে ৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। চলতি মাসের মধ্যে শেয়ার বাজারে এটিই ছিল সবথেকে বড় বিপর্যয়।

জানা যাচ্ছে, একদিনে ৮৭৪.১৬ পয়েন্ট নেমেছে সেনসেক্স। শুক্রবার দিনের শেষে সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৫৯,৩৩০.৯০ ৯০ পয়েন্টে।

অন্যদিকে নিফটি ২৮৭.৬০ পয়েন্ট পড়েছে। দিনের শেষে নিফটি বন্ধ হয়েছে ১৭,৬০৪.৩৫ পয়েন্টে। ধস নেমেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে তেল, গ্যাস সংক্রান্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দরে। এই নিয়ে লাগাতার দু’দিন শেয়ার বাজারে পতন ঘটলো। শেষ দুই ট্রেডিং সেশানে সেনসেক্স পড়েছে ২.৭ শতাংশ এবং নিফটি পড়েছে ২.৮৪ শতাংশ।

সপ্তাহের কেনাবেচার শেষ দিনের বাজারে সবথেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে গৌতম আদানির আদানি এন্টারপ্রাইজ। সংস্থার শেয়ার দর কমেছে ১৮.৫২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রুপ 'দশকের পর দশক ধরে শেয়ারের ক্ষেত্রে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি প্রকল্পে জড়িত।'

আজ বাজারের পতনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। BSE-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির বাজার মূলধন কমেছে ২৬৯.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা। যেখানে বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, মার্কেট ক্যাপিটাল ছিল ২৭৬.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ আজকের কেনাবেচার সময় শেয়ার বাজারে ৬.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, BSE সেনসেক্সে বাণিজ্যের হিসাবে ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন সূচক ছুঁয়েছে ACC, আদানি গ্রীন এনার্জি, আদানি পোর্টস এবং SEZ, অরবিন্দ ফার্মা, বার্জার পেইন্টস, বায়োকন এবং সেঞ্চুরি প্লাইবোর্ড সহ ২১৭ টি কোম্পানি।

অন্যদিকে, শীর্ষ সেনসেক্স ধরে রেখেছে টাটা মোটরস, আইটিসি, মাহিন্দ্রা এবং মাহিন্দ্রা, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট এবং এনটিপিসির কোম্পানির শেয়ার।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in