

রেশন দোকানে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকা। মূল্য ২০ টাকা। আর তা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হরিয়ানার এই ঘটনা তুলে ধরে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)।
বুধবার, টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি শেয়ার করেন পিলিভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন যদি দরিদ্রদের জন্য বোঝা হয়ে যায়, তবে এটি দুর্ভাগ্যজনক হবে।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘রেশনে জাতীয় পতাকা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং প্রাপ্য শস্য কেনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মানুষকে। গরীরদের অন্ন কেড়ে নিয়ে 'তিরঙ্গা'-এর দাম তোলা লজ্জাজনক। মনে রাখতে হবে, এটি (তিরঙ্গা) প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে রয়েছে।’
হরিয়ানার কারনালের এক সংবাদ মাধ্যম মানুষের অভিযোগ ভিডিও আকারে প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, সরকার পরিচালিত রেশন ডিপোয় রেশন সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ২০ টাকা দিয়ে জাতীয় পতাকা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই রেশন ডিপো মালিকের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। জেলা শাসক অনীশ যাদব বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ডিপো মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে প্রশাসনকে আপনারা জানান।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার্থে রেশন ডিপোতে জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে, তারা চাইলে কিনতে পারেন।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিদান দিয়েছে কেন্দ্র। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করতে 'হর ঘর তিরঙ্গা'-র ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই ‘জাতীয় পতাকা’ কিনতে সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টির খবর সামনে এসেছে।
এর আগে যোগী রাজ্যে সরকারী পরীক্ষার 'প্রশ্নপত্র ফাঁস' নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। ঘটনার সমালোচনা করে টুইটারে তিনি লেখেন – ‘উত্তরপ্রদেশে 'সংগঠিত শিক্ষা মাফিয়া' মাথাচাড়া দিয়েছে।‘
শুধু তাই নয়, অগ্নিবীরদের পেনশন প্রসঙ্গে সরব হন বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘স্বল্পমেয়াদি সেবাকাজে নিযুক্ত অগ্নিবীররা যদি পেনশনের যোগ্য না হন, তাহলে জনপ্রতিনিধিদের এই ‘সুবিধা’ দেওয়া হবে কেন? রাষ্ট্রের রক্ষাকারীদের পেনশনের অধিকার না দিলে আমিও আমার পেনশন ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। বিধায়ক/ সাংসদরা কি নিজেদের পেনশন ছেড়ে দিয়ে এটা নিশ্চিত করতে পারেন না যে, অগ্নিবীরদের পেনশন দিতে হবে।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন