এক আন্দোলনকারীকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
এক আন্দোলনকারীকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশছবি - সংগৃহীত

Sonam Wangchuk: লাদাখ বাঁচাও-র দাবিতে অনশনরত ওয়াংচুককে আটক করল দিল্লি পুলিশ

People's Reporter: এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, আন্দোলনকারীরা যন্তর মন্তরে অনশনের বসার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
Published on

লাদাখের পরিবেশ বাঁচানোর দাবিতে অনশন-আন্দোলন করতে গিয়ে আটক হলেন প্রায় ২০ জন আন্দোলনকারী। আটক করা হয় বাস্তবের 'র‍্যাঞ্চো' তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককেও।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে। এক সপ্তাহ আগে গত রবিবার থেকে দিল্লির লাদাখ ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন সোনম ওয়াংচুক সহ একাধিক আন্দোলনকারী। দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশনে বসতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুমতি না মেলায় লাদাখ ভবনের সামনেই অনশনে বসেন তাঁরা।

লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে অনশন করছেন ওয়াংচুকরা। রবিবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের বচসা হয়। (তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, আন্দোলনকারীরা যন্তর মন্তরে অনশনের বসার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই স্থানে অনশনে বসতে দেওয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রায় ২০ জন আন্দোলনকারীকে আটক করে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হবে।

এক আন্দোলনকারী জানান, আমরা নিজেদের দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের জোর করে তুলে নিয়ে গেল। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

এক্স মাধ্যমে সোনাম ওয়াংচুক লেখেন, "গণতন্ত্রের জন্য এক দুঃখের দিন। অনশনের অষ্টম দিনে একাদশীর দিন ৬১ জন মানুষ 'সেভ লাদাখ, সেভ হিমালয়'-র দাবিতে মৌন ব্রত পালন করেছিলেন। পুলিশ জোর করে তাঁদের আটক করেছে। আমাদের বলা হল এই স্থানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩(১৪৪) ধারা বলবৎ করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী"।

প্রসঙ্গত, এর আগে লাদাখ থেকে দিল্লি প্রবেশের সময় সিঙ্ঘু সীমান্তে আটক করা হয় জলবায়ু কর্মী সোনমকে। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের দাবি-সহ একাধিক দাবি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য লে থেকে দিল্লি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন সোনম। বহু লাদাখবাসী সেই আহ্বানে পা মিলিয়েছিলেন। সেই সময় দিল্লি পুলিশ সোনম-সহ ১৫০ জনকে আটক করেছিল। তাঁদের ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ নম্বর ধারার অধীনে আটক করা হয়।

এক আন্দোলনকারীকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
Global Hunger Index 2024: ক্ষুধা সূচকে ১২৭ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৫, এগিয়ে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাও

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in