

সুইডিশ কোম্পানি স্ক্যানিয়া থেকে কোনও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পাননি তিনি। এমনটাই দাবি জানিয়ে আসছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। গত ১৩ এপ্রিল ৩ টি মিডিয়া কোম্পানি সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এই প্রকাশিত তথ্য অবশ্য অন্য কথা বলছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ ও ০১৬ সালের মধ্যে সুইডিশ সংস্থাটি এমন একটি ফার্মকে এই বিলাসবহুল গাড়ি দিয়েছিল, যার সঙ্গে নীতিন গডকড়ির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। মন্ত্রীর দুই ছেলে নিখিল ও সরঙ্গের যোগাযোগও পাওয়া গিয়েছে এই লেনদেনের ব্যাপারে।
নিউজক্লিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে সুইডিশ অটোমোবাইল জায়ান্টের একটি অডিট তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, স্ক্যানিয়া ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের সঙ্গে ইমে্লে কথোপকথন হয়েছিল গডকড়ির। যার নাম ছিল 'মেট্রোলিংক ফর মিস্টার গডকড়ি'। এই অডিটের নাম দেওয়া হয়েছিল, 'ইনভেস্টিগেশন ইনটু, দ্য অ্যালেজড প্রভিশন অফ আ লাক্সারি বাস টু আ সিনিয়র পাবলিক অফিশিয়াল।' ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই বিষয়ে অডিট করা হয়। অডিটে মূলত স্ক্যানিয়া ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের ফোন, ইমেল, হার্ড ড্রাইভ খতিয়ে দেখা হয়। মূলত, ব্যবসার আড়ালে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেকার জন্যই এই অডিট শুরু হয়েছিল।
এছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে সুদর্শন হসপিটালিটি নামক সংস্থার সঙ্গে নীতিন গডকরির যোগাযোগ নিয়ে। গত ৯ জুন ২০১৫ এই সংস্থা কাজ শুরু করে। প্রায় একই সময়ে স্ক্যানিয়া এবং গডকরী ভাইদের মধ্যে ই-মেল চালাচালি শুরু হয়। এই সময়েই ২০১৬ সালে সুদর্শন হসপিটালিটি মানস অ্যাগ্রো নামক সংস্থা থেকে ৩৫ লাখ টাকা আনসিকিউরড লোন পায়। উল্লেখ্য, এই সংস্থাতেই জুন ১৫, ২০১৬ থেকে সর্বসময়ের ডিরেক্টর ছিলেন। এই সংস্থাতেই উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত ছিলেন নিখিল গড়করী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন