Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ - শীর্ষ আদালতে শুনানি শুরু

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, সঞ্জীব খান্না, বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার এবং শুক্রবার বাদে ২ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে এই বিষয়ে শুনানি করবে।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৫- বিচারপতির এক সাংবিধানিক বেঞ্চ বুধবার ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতির এক আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এক আবেদনের শুনানি শুরু করেছে। ওই নির্দেশে পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর এবং সংলগ্ন অঞ্চলে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত।

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার এবং শুক্রবার বাদে ২ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে এই বিষয়ে শুনানি করবে।

আবেদনকারীদের পক্ষ আদালত কর্তৃক নিযুক্ত নোডাল কাউন্সেলের মাধ্যমে সাংবিধানিক বেঞ্চে একটি নোট জমা দিয়ে জানিয়েছে যে মৌখিক শুনানির জন্য প্রায় ৬০ ঘন্টা সময় লাগবে।

সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল, গোপাল সুব্রামানিয়াম, রাজীব ধাবন, দুষ্যন্ত দাভে, শেখর নাফাদে, দীনেশ দ্বিবেদী, জাফর শাহ, সিইউ সিং, প্রশান্ত চন্দ্র সেন, সঞ্জয় পারিখ, গোপাল শঙ্করানারায়ণন, ডক্টর মেনকা গুরুস্বামী, নিত্য রামকৃষ্ণান, নিত্য রামকৃষ্ণান, পি ভি সুরেন্দ্রনাথ আবেদনকারীদের এবং অন্যান্যদের পক্ষে সওয়াল করবেন।

অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আর. ভেঙ্কটরামানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সওয়াল করবেন।

২ শে মার্চ, ২০২০ থেকে প্রয়োজনীয় প্রাক-শুনানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সম্প্রতি ১১ জুলাই পিটিশনের শুনানি হয়েছিল, যখন অন্য এক সাংবিধানিক বেঞ্চ বিষয়টিকে সাত বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি করার প্রয়োজনীয়তার বিরুদ্ধে রায় দেয়।

জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯, যা জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল - জম্মু ও কাশ্মীর এবং এবং লাদাখ-এ ভাগ করেছে। যে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ বেশ কিছু ব্যক্তি, একাধিক রাজনৈতিক দল, আইনজীবী, সমাজকর্মীরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।

সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের সামনে দাখিল করা এক হলফনামায়, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পক্ষে জানিয়েছে, ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে এই অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, অগ্রগতি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা এসেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে রাস্তার হিংসা, সন্ত্রাসবাদী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দ্বারা হামলা এবং সংগঠিত পাথর ছোঁড়ার ঘটনা এখন অতীতের বিষয় হয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে ২০১৮ সালে ১,৭৬৭টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত তা শূন্যে নেমে এসেছে।

মুলতুবি থাকা বিষয়ে, কাশ্মীরি পন্ডিতদের দ্বারা হস্তক্ষেপের আবেদনও দায়ের করা হয়েছে। যেখানে আগের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের গ্রহণ করা পদক্ষেপকে সমর্থন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সুপ্রিম কোর্ট
Haryana: হরিয়ানার হিংসায় প্রচ্ছন্ন ভূমিকায় স্বঘোষিত গোরক্ষক নেতা? উঠছে প্রশ্ন
সুপ্রিম কোর্ট
ADR: দেশের ৪,০০১ বিধায়কের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৪,৫৪৫ কোটি টাকা, ৩ রাজ্যের বাজেট অর্থের বেশি - রিপোর্ট

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in