

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে ধর্না দেয় আন্দোলনকারী কৃষকরা। এই প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বহু মহিলা, প্রবীণ ও অল্প বয়সী কৃষকরা। স্থানীয় থিয়েটার গ্রুপের তরফে পথনাটিকাও করা হয় কৃষি আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে। সারা দিনের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে লঙ্গরের আয়োজনও করা হয়।
এই ধর্নার আয়োজন করা হয়েছিল কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায়। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া ও ওঙ্গোলেতে, হরিয়ানার কইথাল, গুরুগ্রাম, রোহতক, ফতেহবাদ, সোনিপত, আম্বলা, কারনাল, বাদ্দোয়াল চকে হাজারো কৃষককে ধর্নায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। নয়ডার এফসিআই অফিসেও জমায়েত করা হয়। উত্তরপ্রদেশের আতরাউলি, আলিগড়, অযোধ্যা, এয়াহাবাদ জাসরা এবং অন্যান্য জায়গায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ দেখানো হয়। বিহারের সিতামারিতেও এফসিআই গোডাউনে প্রতিবাদ দেখান বিশাল সংখ্যক আন্দোলনকারী কৃষক।
রাজস্থানেও বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা বিক্ষোভ প্রতিবাদের আয়োজন করে। এই দিনটিকে 'সেভ এফসিআই ডে' নামাঙ্কিত করে কৃষক নেতারা ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে বাঁচানোর ডাক দেন। সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্জাবে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই কৃষক। তাদেরকে চাপ দিয়ে মান্ডিগুলো বেসরকারিকরণের কথা বলা হচ্ছে। তারওপর এইসব কৃষকদরে তিনটি প্রজন্মের জমির কোনও ভাগ বাটোয়ারা হয়নি। শরিকি বিবাদের জেরে এইসব কৃষকদের জমির মালিকানা নিয়ে মামলা আদালতে পড়ে রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন