

নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: ২০২০-২১ অর্থবর্ষ চাকরির বাজারের জন্য সবথেকে খারাপ সময় গিয়েছে। তুলনামূলকভাবে বেতনভুক কর্মচারিরা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত জায়গায় রয়েছেন বলে মনে করা হলেও, কোভিড পরিস্থিতিতে এইসব চাকুরিজীবী মানুষদের চাকরি এবার চলে যেতে বসেছে। বিশেষ করে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়তেই এই চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি সিএমআইই রিপোর্ট অনুসারে বেতনভুক কর্মচারীদের পরিমাণ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কমে ৯.৮ মিলিয়ন হয়েছে। যেখানে ২০১৯-২০-তে ছিল ৮৫.৯ মিলিয়ন, ২০২১ সালে তা কমে ৭৬.২ মিলিয়ন হয়েছে। যা প্রমাণ করে দিয়েছে, মোদি সরকার আর বেকারদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেনি। হতে পারে তা বর্তমান মহামারী পরিস্থিতির জন্য। কিন্তু কোভিডের কারণে যে পরিমাণ চাকরি চলে গিয়েছে, তার ভার আরও বেশ কয়েক মাস বয়ে চলতে হবে। মানুষকে একপ্রকার জোর করে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার ফলে প্রায় ৫৭ শতাংশ মানুষ আজ ঘরে বসে রয়েছেন। যে বিধিনিষেধগুলো চালু করা হয়েছে নতুন করে, তা মূলত শহরতলীর জন্য। যেখানে বেশিরভাগ মানুষই বেতনভুক চাকুরিজীবী। কেন্দ্র বিকল্প কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে- তাও স্পষ্ট নয়।
২০১৯-২০ -র তথ্য অনুসারে দেশে মোট ৫৮ শতাংশ মানুষ বেতনভুক কর্মচারী। এরপর চাকরি গেলে তা গ্রামীণ ভারতের মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলবে। গ্রামীণ ভারতে বেতনভুক কর্মচারী রয়েছে ৪২ শতাংশ। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়ায় শহরাঞ্চলের মানুষের থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারাই। এবার করোনার দ্বিতীয়-তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় গ্রামীণ ভারতের মানুষের উপর তার প্রভাব বেশি করে পড়তে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন