দিনেদুপুরে সরকারী অফিসের সামনে RTI কর্মী খুন - কাজ করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, দাবি অন্যান্য কর্মীদের

মধ্যপ্রদেশে আরটিআই কর্মীদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ালিয়র জেলায় এক দলিত আরটিআই কর্মীকে মারধর করে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
দিনেদুপুরে সরকারী অফিসের সামনে RTI কর্মী খুন - কাজ করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, দাবি অন্যান্য কর্মীদের
প্রতীকী ছবি সংগৃহীত
Published on

সরকারী অফিসের সামনেই এক আরটিআই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হলো। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের বিদিশাতে দিনের আলোয় এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত আরটিআই কর্মীর নাম রঞ্জিত সোনি।

বিদিশার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর যাদব জানিয়েছেন, বিদিশা জেলা দপ্তরে সামনেই রঞ্জিত সোনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিছু নথি সংগ্রহ করতে তিনি জনপদ পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন। অফিস থেকে বেরিয়ে গেটে পৌঁছানোর সাথে সাথেই এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ASP। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

যেখানে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে এলাকাটি। এর পাশেই পিডব্লিউডি কার্যালয়, জেলা আদালত রয়েছে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অফিস রয়েছে। এরকম একটি এলাকায় দিনের আলোয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

মধ্যপ্রদেশে আরটিআই কর্মীদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ালিয়র জেলায় এক দলিত আরটিআই কর্মীকে মারধর করে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে গোয়ালিয়রের পাশেই মোরেনা জেলায় এক আরটিআই কর্মীকে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোপালের এক আরটিআই কর্মী সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে জানিয়েছেন, "মধ্যপ্রদেশে আরটিআই কর্মীদের প্রতিদিন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখানে আরটিআই কর্মীদের কাজ করা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ক্রমশ। আরটিআই কর্মীদের রক্ষা করার জন্য আমরা বারবার রাজ্যে হুইসেলব্লোয়ার আইন বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি শোনা হচ্ছে না।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in