

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পাকে সরানোর পরিকল্পনা আসলে আরএসএস (RSS) এর ষড়যন্ত্র। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের কোত্তুর ভীরাশিভা শিবাযোগা মন্দিরের শ্রী সঙ্গনা বাসভা স্বামী এমনটাই দাবি করেছেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পার অপসারণ নিয়ে সরগরম কর্নাটক রাজনীতি। এরইমধ্যে বাসভা স্বামীর মন্তব্যকে ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
হসপেট-এ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাসভা স্বামী বলেন, 'আরএসএস (RSS) হচ্ছে একটি জাতিবাদী সংগঠন। দলে কোনও উদার মনোভাবাপন্ন নেতা নেই। আমরা জানি মহারাষ্ট্রে কি হয়েছে। লাখো মরাঠা যুবক পরিশ্রম করে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছেন। কিন্তু এরপরই আরএসএস নেতারা দেবেন্দ্র ফডনবিশের মতো ব্রাহ্মণকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দিয়েছেন। এরপরই মরাঠা সম্প্রদায়ই রাজ্যে বিজেপিকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছে। খবর রয়েছে, আরএসএস চায় ইয়েদুরাপ্পার পরিবর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসুক প্রহ্লাদ যোশী। কিন্তু, এমনটা হবে না। বিজেপি যদি ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে দেয়, তাহলে রাজ্যকে থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে বিজেপিকে। আর এর ফল ভোগ করবে কংগ্রেস বা জেডি(এস)।'
এরইমধ্যে লিঙ্গায়েত শিরের প্রতিনিধি দল ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করে, তার মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময়কাল পূর্ণ করার আবেদন করেন। বৈঠকের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্দালিঙ্গা স্বামী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আবেদন করেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে যেন ইয়েদুরাপ্পাকে সরানো না হয়।
সিদ্দালিঙ্গা স্বামী বলেন, কোভিডের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে ইয়েদুরাপ্পা ভালো কাজ করেছেন রাজ্যবাসীর জন্য। এই সময়ে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন নেই। আগামী ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত ইয়েদুরাপ্পাকে পদে বহাল রাখা হোক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন