লকডাউনে কর্মহীনদের মাসে ৬০০০ টাকা ও খাদ্যশস্য দেওয়া হোক - প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর
ফাইল ছবি

লকডাউনে কর্মহীনদের মাসে ৬০০০ টাকা ও খাদ্যশস্য দেওয়া হোক - প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর

কর্মহীনদের হাতে মাসে সরাসরি ৬০০০টাকা এবং বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হোক। এই টাকা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হোক।
Published on

অনেক রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চলছে লকডাউন। বঙ্গে জারি হয়েছে কার্যত লকডাউন। এই অবস্থায় গতবারের মতোই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুররা। শুধু তাই নয়, এবারও অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবা ছাড়া আর সবকিছুই বন্ধ থাকায় মানুষের রুজি-রুটিতে টান পড়েছে। কী করে সংসার চলবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এই মানুষগুলোর কথা মাথায় রেখেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পদক্ষেপ করার জন্য চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে অধীর লিখেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে দিনমজুরদের। তাঁদের এখন কাজ নেই। করুণ পরিস্থিতির মুখে তাঁদের পরিবার। এখন তাঁরা নিজেদের সমাজের পরিত্যক্ত বলেই ভাবছেন এবং আশাহত হয়ে পড়েছেন। গতবছরের কথা উল্লেখ করেও অধীর লিখেছেন, সেই সময়ও এভাবেই সংগ্রাম করতে হয়েছিল দেশের গরীব মানুষকে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আবেদন জানিয়েছেন, কর্মহীনদের হাতে মাসে সরাসরি ৬০০০টাকা এবং বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হোক। এই টাকা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হোক।

উল্লেখ্য, সনিয়া গান্ধী সম্প্রতি দাবি করেন, লকডাউনে কর্মহীনদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য ও মাসে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হোক। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অধীর। পশ্চিমবঙ্গ-সহ যেসব রাজ্যে লকডাউন চলেছে, তাদের সবার হাতেই এই সাহায্য তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনে করছেন, এই উদ্যোগে শুধু ওই পরিবারগুলিই উপকৃত হবেন তা নয়, দেশের অর্থনীতিও লাভবান হবে।

কয়েকদিন আগেই আরও কয়েকটি চিঠি মোদিকে লেখেন অধীর। টিকার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তাঁর আবেদন ছিল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো, রাজ্য সরকারের পাশে থাকতে নরেন্দ্র মোদিকে আর্জি। পশ্চিমবঙ্গকে পর্যাপ্ত টিকা দিতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in