
পরিবার কংগ্রেসি হলেও ২০২২ সালে বিজেপির হয়ে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। আপের প্রার্থীকে পঞ্চাশ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জামনগর উত্তরের বিধায়ক হন তিনি। এবার ক্রিকেটারের স্ত্রী জায়গা পেলেন গুজরাটের মন্ত্রিসভায়। শুক্রবার রাজভবনে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
গুজরাটের বিজেপি সরকার ২৫ সদস্যের একটি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে। সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বড় চমক রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভি এ বার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের ডেপুটি বা উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন। এদিন গান্ধীনগরের রাজভবনে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের উপস্থিতিতে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
হর্ষ সঙ্ঘভি ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভায় পুরনো মুখের পাশাপাশি উঠে এসেছে একঝাঁক নতুন নাম। পুনরায় মন্ত্রী হয়েছেন ঋষিকেশ প্যাটেল, কানুভাই দেশাই, কুনওয়ারজি বাভালিয়া, প্রফুল পানসেরিয়া এবং পারশোত্তম সোলাঙ্কি। এঁরা পাঁচজনই আগের মতোই তাঁদের দপ্তর সামলাবেন, তাই তাঁদের নতুন করে শপথ নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
অন্যদিকে, নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন ত্রিকম ছাং, স্বরূপজি ঠাকুর, প্রবীণ মালি, পিসি বারান্দা, দর্শনা ভাঘেলা, কান্টিলাল অমৃতিয়া, অর্জুন মোধভাডিয়া, প্রদ্যুম্ন বাজা, কৌশিক ভেকারিয়া, জিতেন্দ্র ভাই ভাগানি, রমনভাই সোলাঙ্কি, কমলেশভাই প্যাটেল, সঞ্জয় সিং মাহিদা, রমেশভাই কাটারা, প্রফুল পনসেরিয়া, মনীষা বকিল, ঈশ্বরসিং প্যাটেল, ডা. জয়রামভাই গামিত এবং নরেশভাই প্যাটেল।
এই মন্ত্রিসভার সামাজিক ভারসাম্যও বিজেপি নেতৃত্বের কৌশলের প্রতিফলন। ২৫ জনের মধ্যে রয়েছেন আটজন ওবিসি, ছয়জন পাতিদার, চারজন আদিবাসী, তিনজন তফসিলি জাতি, দু’জন ক্ষত্রিয় এবং একজন করে ব্রাহ্মণ ও জৈন (লঘুমত) সম্প্রদায়ভুক্ত প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া বাকিরা অর্থাৎ মোট ১৬ জন মন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পরেই শুরু হয় এই ব্যাপক রদবদল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বিজয় রূপানি ও তাঁর সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভার পদত্যাগের পর এটিই রাজ্যের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পুনর্গঠন।
বর্তমানে ১৮২ সদস্যের গুজরাট বিধানসভায় সর্বাধিক ২৭ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী, মোট আসনের ১৫ শতাংশের বেশি নয়। নতুন মন্ত্রিসভায় সেই সীমার প্রায় কাছাকাছিই পৌঁছে গিয়েছে সরকার।
ভূপেন্দ্র প্যাটেল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন। কয়েকদিন আগেই তিনি রাজ্যে নেতৃত্বের পাঁচ বছর পূর্ণ করলেন, আর সেই সময়েই এই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন বিজেপির শাসনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন