
দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার জন্য এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড বা ডিজিএফটি এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, বাসমতী নয় এমন সাদা চালের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এই বিশেষ নিয়ম অবিলম্বেই কার্যকর হবে। তবে এই বিজ্ঞপ্তি আসার আগেই যে চাল রপ্তানির জন্য জাহাজে তোলা হয়ে গিয়েছে, তাতে ছাড় দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে ওই নির্দেশনামায়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, “ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারী দেশ। তবে এবছর দেশের চাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলিতে এল নিনোর অদ্ভুত আবহাওয়া প্রকৃতির কারণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। বহু এলাকায় তো বৃষ্টির অভাবে খরাও দেখা গিয়েছে, যার সঙ্গী হয়েছে ভীষণ তাপপ্রবাহ। যার ফলে এবারে দেশে চালের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে চালের দামে, যা গত একবছরে প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি গত মাসেই তা বেড়েছে ৩ শতাংশ।”
বিবৃতি থেকে আরও জানা গিয়েছে, “গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের চাল রপ্তানি লাগামের মধ্যে রাখতে প্রায় ২০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। কিন্তু রপ্তানির হার কমার বদলে উল্টে বৃদ্ধি পায়। তাই এবার দেশের বাজারে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার উদ্দেশ্যেই বাসমতী নয় এমন সাদা চালের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে চালের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ১০ দিনে দেশীয় বাজারে চালের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের বাজারে চাল-গম ইত্যাদি খাদ্যশস্যগুলির দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে রাখতে চাইছে কেন্দ্র। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এর জন্য ভারতের বাজারে চালের দাম কমলেও বিশ্বের বাজারে চালের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন