প্রবীণ নাগরিকদের রেল ভাড়ায় ছাড় কাম্য নয়, লোকসভায় জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

লকডাউন ঘোষণার সময়, রেলভাড়ায় প্রবীণ নাগরিকদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। কর্মকর্তারা বলেছিলেন, প্রবীণদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব (বামে)
অশ্বিনী বৈষ্ণব (বামে)গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

দেশের প্রবীণ নাগরীকরা রেল ভাড়ায় যে ছাড় পেতেন, মহামারী করোনা কালে তা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। সবকিছুই সচল হয়েছে।

এবার সেই ভাড়া ছাড়েই বিষয়টি ফিরিয়ে আনা হবে কিনা বুধবার, লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছেন দুই বিরোধী সাংসদ-এ অ্যান্টনি ও মহম্মদ ফয়জল। সে প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় রেলের সর্বস্তরে বয়স্ক বা অন্যদের জন্য প্রদত্ত ছাড়ের প্রথা আপাতত ফিরিয়ে নিয়ে আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। রেলের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই ধরণের ছাড় কাঙ্খিত নয় বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী।

২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার সময়, রেলভাড়ায় প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বয়স্ক নাগরিক, করোনা ভাইরাস যাদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু, বুধবার রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, রেলের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাড়া এমনিতেই কম। কম ভাড়ার জন্য এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রেলের ভাড়ায় ছাড়ের জেরে রেলের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব বলেন, রেলের ভাড়া কম থাকার জেরে ইতিমধ্যে সিনিয়র সিটিজেন সহ যাত্রী পরিবহণের প্রায় ৫০ শতাংশ খরচ রেলকে বহন করতে হয়। এছাড়াও কোভিডের জেরে ২০১৯-২০ সালের তুলনায় গত দুবছর রেলের আয় অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর জেরে দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে রেলের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়েছে।

রেলমন্ত্রী দাবি করেন, প্রবীন নাগরিকদের ট্রেন ভাড়ায় ছাড় দিতে গিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে ১৪৯১ কোটি, ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে ১৬৩৬ কোটি এবং পরের বছর অর্থাত্‍ ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে ১৬৬৭ কোটি টাকা কম আয় হয়েছে।

অশ্বিনী বৈষ্ণব (বামে)
প্রবীণ নাগরিকদের কোনো ভর্তুকি না, সাংসদদের জন্য কোটি কোটি ব্যয়, RTI-এ উঠে এল রেলের চরম বৈষম্যের ছবি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in