"ধর্মের উৎপত্তি গরু থেকেই": গুজরাত আদালত

আদালতে একাধিক সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে বিচারপতি বলেন, "গরু কেবল একটি প্রাণী নয়, আমাদের মা। যদি গরুরা অখুশি থাকে, তাহলে আমাদের সম্পদ এবং সম্পত্তি ক্রমশ কমে যাবে।"
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

"গোহত্যা বন্ধ হলে পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।" এমনই উদ্ভট মন্তব্য করলেন গুজরাতের এক আদালত। বেআইনিভাবে গবাদি পশু পরিবহন করার জন্য এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেছে আদালত।

আইনি সংবাদের ওয়েবসাইট লাইভ ল গুজরাটের তাপি জেলা আদালতের প্রধান বিচারপতি সমীর বিনোদ চন্দ্র ভ্যাসের মন্তব্য উদ্ধৃত করে লিখেছে, "গোহত্যা বন্ধ হলে পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। গোবরের তৈরি ঘরগুলি পারমাণবিক বিকিরণ দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এবং গোমূত্রের ব্যবহার একাধিক দুরারোগ্য রোগের নিরাময় করে। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে গোমূত্র অনেক দুরারোগ্য রোগ সারিয়ে তোলে।"

বিচারকের আরও দাবি, ধর্মের উৎপত্তি গরু থেকেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিচারকের এই দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি।

Bar and Bench-এর প্রতিবেদন অনুসারে, নভেম্বরে দেওয়া এই রায়ের সময়, যা সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে গতকাল, গো রক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত আলোচনা বাস্তবায়িত হয়নি বলে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারক। একাধিক সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে তিনি বলেন, "গরু কেবল একটি প্রাণী নয়, আমাদের মা। যদি গরুরা অখুশি থাকে, তাহলে আমাদের সম্পদ এবং সম্পত্তি ক্রমশ কমে যাবে।"

গোহত্যার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনেরও সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেন বিচারক। তিনি বলেন, "বর্তমান পৃথিবীতে যত সমস্যা আছে তা উত্তেজনা এবং উত্তপ্ত মেজাজ বৃদ্ধির কারণে। এগুলো বৃদ্ধির একটাই কারণ গোহত্যা করা। এগুলো সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সাত্ত্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব ফেলতে পারে না।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর আগস্ট মাসে ১৬ টি গরুকে বেআইনিভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি
'ব্লক ইন ইন্ডিয়া' BJP-র নতুন স্কিম - মোদীকে নিয়ে করা BBCর তথ্যচিত্র ব্লক প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিরোধীদের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in