
বিতর্কিত 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমা নিয়ে উত্তাল দেশ। ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে বাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে সিনেমাটি। অন্যদিকে, কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশে সিনেমার টিজারে করা মিথ্যা দাবি সরিয়ে নিয়েছেন সিনেমার প্রযোজক বিপুল শাহ।
'দ্য কেরালা স্টোরি'র টিজারে দেখানো হয়েছিল, কেরালার কমপক্ষে ৩২ হাজার হিন্দু ও খ্রিস্টান মহিলাকে ধর্মান্তরিত করিয়ে আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদান করানো হয়েছে। বিতর্কের মুখে টিজারে ৩২ হাজারের বদলে ৩ জন মহিলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি।
আর, এই পেক্ষাপটে গরীব মানুষদের জন্য রাজ্যে আবাসন প্রকল্পের ছবি তুলে ধরে, টুইটারে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন লিখেছেন - 'রিয়েল কেরালা স্টোরি' (Real Kerala Story) অর্থাৎ, এটাই কেরালার আসল কাহিনী।
টুইটারে বিজয়ন লিখেছেন, ‘LDF সরকারের #LIFEMmission-প্রকল্পের অধীনে গৃহহীনতার অবসান ঘটতে চলেছে কেরালায়। আজ, ২০ হাজার ৭৩ টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং, আরও ৪১ হাজার ৪৩৯ টি পরিবারের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ১৫৬টি পরিবার উপকৃত হয়েছে। এটাই কেরালার আসল কাহিনী!"
রাজ্যের ৪ লক্ষ ৩২ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের থাকার জায়গা দিতে পাকা বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ‘লাইফ মিশন’ (LIFE mission) চালু করে বাম শাসিত কেরালা সরকার। এরমধ্যে, ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ভূমিহীন পরিবার ছিল, আর জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করতেন ৪৪ হাজার পরিবার। পরে, আরও কিছু পরিবার এই তালিকায় যুক্ত হন। সব মিলিয়ে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার পরিবারের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে, ৩ লক্ষ ৪২ পরিবার ইতিমধ্যে নিজেদের থাকার জায়গা হিসাবে ‘পাকা বাড়ি’ উপহার পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার, প্রায় ২০ হাজার ৭৩ টি পরিবারের হাতে পাকা বাড়ি হস্তান্তর করেছে এলডিএফ সরকার। একইসঙ্গে, অন্যান্য তালিকাভুক্তদের হাতে বাড়ি তুলে দিতে আরও ৪১ হাজার ৪৩৯ টি নতুন বাড়ি নির্মাণের চুক্তি হয়েছে।
ফেসবুকে এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন লিখেছেন, 'প্রত্যেক মানুষরই স্বপ্ন থাকে, তাঁর বসবাসের জন্য একটি পাকা ঘর থাকবে। দৈনন্দিন জীবনে নানা চ্যালেঞ্জের কারণে অধিকাংশ মানুষই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন না। লাইফ মিশনের মাধ্যমে রাজ্যে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা 'শূন্যে' নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এলডিএফ সরকার।'