

গত বছর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো যুবক রাম ভক্ত গোপালকে গ্রেপ্তার করলো হরিয়ানা পুলিশ। এক সপ্তাহ আগে হরিয়ানার পাতৌদিতে হওয়া এক মহাপঞ্চায়েতে মুসলিমদের আক্রমণ করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। এক সপ্তাহ ধরেই মহাপঞ্চায়েতে বলা রাম গোপালের বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকহারে ঘোরাঘুরি করছে।
গত ৪ জুলাই পাতৌদির রামলীলা ময়দানে 'লাভ জিহাদ' নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে মুসলিম মহিলাদের অপহরণ করার জন্য দর্শকদের উৎসাহিত করছেন রাম ভক্ত গোপাল।
তাঁকে বলতে শোনা গেছে, যখন আমরা মুসলমানদের আক্রমণ করবো, তখন মুসলমানরা 'রাম রাম' বলে চিৎকার করবে।
মানেসরের ডিসিপি বরুণ সিঙ্গলা জানিয়েছেন, "আইপিসি-র ১৫৩-এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ছড়ানো) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো) ধারায় একটি FIR দায়ের হয়েছে। অভিযোগে অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা ছিল। আজ সন্ধ্যায় আমরা তাঁকে গ্রেফতার করেছি। অভিযুক্ত নিজেই স্বীকার করেছেন তাঁর বয়স ১৯ বছর।"
গুরগাঁওয়ের জামালপুরের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই FIR দায়ের করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি অভিযোগে জানিয়েছেন, "গত ৪ জুলাই পাতৌদির রামলীলা ময়দানে একটি মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে এক ব্যক্তি যথেষ্ট উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছেন যা দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে।"
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩০ জানুয়ারি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন এই যুবক বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। তাঁর ‘ইয়ে লো আজাদি’ ভাইরাল হয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ঘটনার পর তাঁকে ২৮ দিনের জন্য জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাঁর বয়স ১৭ বছর এবং তিনি নাবালক। সেই সময় তাঁর নামও প্রকাশ করা হয়নি।
৪ জুলাইয়ের ওই মহাপঞ্চায়েতে হরিয়ানা বিজেপির মুখপাত্র সূরয পাল আমুও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও মুসলিমদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। সেই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন