
এক কেজি সোনার বিস্কুট, নগদ ২৩ কোটি টাকা, একটি রুপার পিস্তল, একটি রুপার হাতকড়া – মন্দিরের দানপাত্র খুলতেই বিস্মিত কর্তৃপক্ষ। রাজস্থানের চিতোরগড়ের সানওয়ালিয়া শেঠ মন্দিরের ঘটনা। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি দান।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতি দু’মাস অন্তর খোলা হয় দানপাত্র। সেই মতো বৃহস্পতিবার দানপাত্র খোলা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দানপাত্রে ছোট-বড় মিলিয়ে এক কেজির মতো সোনার বিস্কুট দান করেছেন ভক্তেরা। কেউ আবার দিয়েছেন রুপোর তৈরি জিনিস। এর মধ্যে রয়েছে রুপোর তালা-চাবি, বাঁশি, রুপোর একটি পিস্তল, এমনকি রুপোর হাতকড়িও পাওয়া গিয়েছে ওই দানপাত্রে।
মন্দির সূত্রে খবর, প্রথম দফায় নগদ ১১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা গোনা হয়। দ্বিতীয় দফায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ। তৃতীয় দফায় ৪ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা গোনা হয়েছে। তার পর আরও কয়েক দফায় টাকা গোনা শেষ হয়। মন্দিরের এক কর্মী জানান, এর আগে এত সম্পদ দান হিসাবে পাওয়া যায়নি। এ বার আগের সব হিসাবকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
চিতোরগড়-উদয়পুর হাইওয়ের ধারে চিতোরগড় থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই মন্দির। বর্তমানে এটি চিতোরগড়ের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। এই মন্দিরের উৎপত্তি ১৯৪০ সালে। শোনা যায়, ভোলারাম গুর্জার নামে এক দুধওয়ালা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণের তিনটি মূর্তি সমাধিস্থ রয়েছে এক গ্রামে। স্বপ্নাদেশের পর ওই জায়গা খনন করে উদ্ধার হয় তিনটি মূর্তি। যা পরবর্তিতে মন্দাফিয়া, ভাদসোদা এবং চাপড়ে স্থাপন করা হয়। মন্দাফিয়া মূর্তিটিই এখন এই তিনটি মন্দিরের কেন্দ্রবিন্দু। যা সানওয়ালিয়া শেঠ ধাম নামে পরিচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন