
ফের ধর্ষণ করে এক নাবালিকার শরীরে নৃশংস ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল। চলতি সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের অলওয়ার জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে তিলজারা উড়ালপুলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অভিযোগ, গণধর্ষণের পর নাবালিকার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল ধারালো অস্ত্র। বর্তমানে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বিশেষভাবে সক্ষম ওই নাবালিকা। তারপর তাকে উড়ালপুল থেকে নীচে ফেলে দেওয়াও হয়েছিল।
মঙ্গলবার নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে অলওয়ারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নাবালিকার রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। সেখান থেকে তাকে জয়পুরের জেএন লোক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তার অস্ত্রোপচার চলে। সেখানেই আশঙ্কাজনক ভাবে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। প্রসঙ্গত, নাবালিকার পরিবারের লোকেরা দিনমজুরের কাজ করেন। ওই নাবালিকার ভাই ও বোন আছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার শরীর ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গোপনাঙ্গ থেকে ধারাল অস্ত্রও বের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাবালিকার স্বাস্থ্যের প্রতি কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল সংলগ্ন ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ৩০০-র বেশি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজস্থানের মহিলা ও শিশুবিকাশ দফতরের মন্ত্রী মমতা ভূপেশের আশ্বাস, অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। নাবালিকার পরিবারকে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন