কয়েকদিন আগেই শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন অমরিন্দর সিং। সেই তিনিই এবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিশানা করলেন দুই ভাই-বোন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বললেন, ওঁরা অনভিজ্ঞ। উপদেষ্টারা ওঁদেরকে ভুল বোঝাচ্ছেন। ভুলপথে চালিত করছেন।
সামনেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হয়েছে অমরিন্দরকে। এই ব্যাপারে তিনি আঙুল তুলেছেন নভজ্যোত সিং সিধুর দিকে। যদিও তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে চেয়ে তিনি সোনিয়া গান্ধীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি আরও কতদিন অপেক্ষা করার জন্য বলেছিলেন।
তিনি বলেন, গিমিকে তিনি বিশ্বাসী নন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে বিধায়কদের গোয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেননি। সেখানেই তিনি সিধুর থেকে পিছিয়ে গিয়েছেন বলে আক্ষেপ তাঁর। তবে অভিজ্ঞ এই রাজনীতিকের হুঁশিয়ারি, আমি জয়ের পর রাজনীতি ছাড়তে পরি, কিন্তু হেরে নয়।
তাহলে কী করবেন তিনি? ইঙ্গিত দিয়েই রাখলেন ক্যাপ্টেন। বললেন, আসন্ন নির্বাচনে সিধুর বিরুদ্ধে ভারী প্রার্থী দাঁড় করাবেন। তাহলে কী অন্য দলে যোগ দেবেন অমরিন্দর? শোনা যাচ্ছে, নিজেই দল গড়তে পারেন ক্যাপ্টেন। বয়স যে ফ্যাক্টর নয়, সেটাও জানিয়ে রাখলেন অমরিন্দর।
স্পষ্ট বললেন, ‘কেউ ৪০ বছরেই বুড়ো হয়। কেউ ৮০–তেও হয় না।’ পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তবে চান্নি যে নিজস্ব মতামত দিয়ে সরকার চালাতে পারবেন না, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। পাক সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীত্ব যে সহজ কথা নয়, তা নিয়েও সাবধান করলেন প্রবীণ এই রাজনীতিক।
প্রসঙ্গত, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরপরই অমরিন্দর সিং পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি তাঁকে "দেশবিরোধী" বলেও অভিহিত করেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।