রাহুল গান্ধীর দু’বছরের কারাবাসের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলো গুজরাট হাইকোর্ট। শুক্রবার এই বিষয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন আদালতে খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। ২০১৯ সালে করা এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে সুরাট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যে মামলার জেরে তাঁর দু'বছরের কারাবাসের শাস্তি হয় এবং এর পরেই তাঁর গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।
গত মে মাসে গুজরাট হাইকোর্ট রাহুল গান্ধীকে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন ছাড় দিতে অস্বীকার করে। আইন অনুসারে কোনও সাংসদ ২ বছর বা তার বেশি সময় জেলে থাকার শাস্তি হলে তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়ে যায়।
গত মার্চ মাসের ২৩ তারিখে তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে সুরাটের এক আদালত দু’বছর কারাবাসের শাস্তি শোনায়। বিজেপি বিধায়ক এবং গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর এই সাজা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী মোদী পদবী মন্তব্য করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরদের পদবী মোদী হয়?’
আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত হবার পরেই তড়িঘড়ি ওয়াইনাডের সাংসদের সাংসদপদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা। রাহুল গান্ধী সুরাট আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় আপাতত সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। একইসঙ্গে আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
মার্চ মাসে রাহুল গান্ধীর ওপর সাজা ঘোষণার পর ৩ এপ্রিল সুরাতের দায়রা আদালতে এই সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে তিনি আবেদন করেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আর পি মোগেরা। এরপর রাহুল গান্ধীর আইনজীবী গুজরাট হাইকোর্টে ফের আবেদন করেছিলেন। শুক্রবার বিচারপতি রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ করে দেবার পর তাঁর সামনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন