প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সুরাট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করলেন। সম্প্রতি ২০১৯ সালের এক ঘটনায় সুরাটের এক আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে। যার জেরে তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়ে যায়। ছেড়ে দিতে হয় সরকারি বাংলো।
সুরাট সেশনস কোর্টের ২০ এপ্রিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এদিন রাহুল গান্ধীর পক্ষে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল সুরাট দায়রা আদালতে খারিজ হয়ে যায় রাহুল গান্ধীর আবেদন।
এক অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গত ২৩ মার্চ সুরাটের নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদন্ড দেয়। আদালতের সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করেন লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা। যদিও আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ৩০ দিনের মধ্যে তিনি উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও ওই সময়েই সুরাটের নিম্ন আদালত তাঁকে ৩০ দিনের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়।
সুরাত আদালতের এক মামলার রায়ের ভিত্তিতে গত ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়। লোকসভা সচিবালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রী রাহুল গান্ধী, কেরালার ওয়াইনাড সংসদীয় কেন্দ্রের লোকসভা সাংসদ, লোকসভার সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কারণ গত ২৩ মার্চ, ২০২৩ তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন এবং ভারতীয় সংবিধানের ধারা ১০২(১)(ই) এবং রিপ্রেসেন্টেসন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট, ১৯৫১-এর ধারা ৮ অনুসারে তিনি যোগ্যতা হারিয়েছেন। সাংসদ পদ চলে যাবার পরেই তাঁকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়, "রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। যিনি আপনার জন্য এবং দেশের জন্য রাস্তা থেকে সংসদ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য লাগাতার লড়াই করেছে চলেছেন। সমস্ত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও যে কোনো মূল্যে তিনি এই লড়াই জারি রাখবেন এবং সমস্ত বিষয়ে ন্যায়সঙ্গত ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। লড়াই জারি থাকবে।"
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সময় ‘মোদী’ পদবী তুলে কিছু মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কর্ণাটকের কোলারে করা তাঁর মন্তব্য নিয়ে মামলা হয় গুজরাটে। যে মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারার অধীনে (মানহানি) মামলা করা হয়।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন