গত দীর্ঘ প্রায় দু'মাস দিল্লি-উত্তর প্রদেশের সীমান্তে গাজিপুর কৃষক আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সূত্র অনুসারে, ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ওই অঞ্চল থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কৃষকদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বললে সরাসরি তা নস্যাৎ করে দেয় কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন- “যদি প্রয়োজন হয় পুলিশের গুলি খেতেও রাজি।”
অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের অন্য কয়েকটি কেন্দ্রবিন্দু যথা- সিঙ্ঘু, টিকরিতে ব্যাপক পরিমাণে নিরাপত্তারক্ষীর সক্রিয়তা বেড়েছে।
গাজিপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। জলের জোগানও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ২৬ শে জানুয়ারির আগেই বর্ডার সিল করে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ২৬ শে জানুয়ারি ব্যারিকেড ভেঙে ট্র্যাক্টর প্যারেড করেছিলেন কৃষকরা।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ করে বলেন- “গাজিপুরে কোনো অশান্তি হয়নি, তাহলে আন্দোলন করতে পারবে না কেন কৃষকরা?”
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বাগপতে কৃষকদের জোর করে আন্দোলনস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন তা অস্বীকার করেছে। তাঁদের কথায় ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির অনুরোধে আন্দোলনকারীদের সরাতে হয়েছে। মথুরা, ফতেপুরেও অল্প সংখ্যক কৃষকদের জমায়েত হয়েছিল- তাঁদেরকেও ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হরিয়ানার কার্ণালে আন্দোলনরত কৃষকদের ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছে হরিয়ানার পুলিশ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।