করোনা মহামারী আবহে পাঞ্জাবে ব্যাপকভাবে ব্যাহত স্বাস্থ্য পরিষেবা। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ থেকে এনপিএ বাতিল করার প্রতিবাদে শুক্রবার একদিনের কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেছেন রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর এতেই ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর।
মূলত, গ্রামীণ এলাকায় এই চিকিৎসক ধর্মঘটের প্রভাব বেশি করে পড়েছে। ওপিডিতে রোগী দেখার কেউ নেই বললেই চলে। এছাড়াও এমার্জেন্সি সার্ভিসের উপরও এই ধর্মঘটের প্রভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। রোগী ও তাদের পরিজনের এই অবস্থার জন্য সরকারকে দুষে অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছেন।
মা'কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে ধর্মঘটের মুখে পড়ে অমৃতসরের বাসিন্দা গুরদেব সিং জানিয়েছেন, এই ধর্মঘটের ফলে গরীব মানুষরাই সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী। কারণ, গরীব মানুষদের ক্ষমতা নেই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর। একদিনের এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট পাঞ্জাব গভর্নমেন্ট ডক্টরস কোঅর্ডিনেশন কমিটি। তাদের সমর্থন জানিয়েছে, পাঞ্জাব স্টেট ভেটেরিনারি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, পাঞ্জাব মেডিক্যাল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, রুরাল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, পাঞ্জাব ডেন্টাল মেডিক্যাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং পাঞ্জাব আয়ুর্বেদা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বৃহস্পতিবার রাতেই মন্ত্রীদের একটি কমিটি গঠন করেছেন। যাতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এই সমস্যার সমাধান বের করা যায়। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাহ্ম মহিন্দ্রা, অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল, সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রী সাধু সিং ধরমসত, মেডিক্যাল এডুকেশন এবং রিসার্চ মন্ত্রী এপি সোনি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিধুকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন একটি অফিসার্স কমিটিও গঠন করতে। যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের অভিযোগ শুনবে।
- with IANS input
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।