

বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগেই পুদুচেরির কংগ্রেস সরকার আরও সংখ্যালঘু হয়ে পড়লো। আগামীকাল সোমবার বিধানসভায় রাজ্যের সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন লেফট্যানেন্ট গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দর্যরাজন। তার আগে রবিবার ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের ১ বিধায়ক এবং সরকারকে সমর্থনকারী ডিএমকে-র ১ বিধায়ক ইস্তফা দেন। এরপরেই কংগ্রেস সরকারের সমর্থকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২তে। আজ দুই বিধায়কের ইস্তফার পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৪ বিধায়কের সমর্থন।
এদিন পদত্যাগ করেন কংগ্রেসের চার বারের বিধায়ক লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ডিএমকে-র ভেঙ্কটেশন। ইস্তফা দেবার পর ভেঙ্কটেশন কিছু না জানালেও কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন – দলে তিনি প্রাপ্য সম্মান পাননি। একজন বিশিষ্ট বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। কংগ্রেস সরকার এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনার পরে তিনি তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন।
এই মুহূর্তে যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে পুদুচেরিতে সরকার বা বিরোধী কারোরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। সেক্ষেত্রে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুদুচেরিতে ৩ মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে।
রাজ্যে একের পর এক কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী সাংবাদিকদের জানান – বিজেপি রাজ্যে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। এটা বিজেপির অভ্যাস। এর আগে গোয়া, মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, অরুণাচল প্রদেশে এভাবেই সরকার ফেলেছে বিজেপি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন