

জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার অধিগৃহীত ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বেতন না-পাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এইসব সেক্টরে কাজ করা কর্মীরা জম্মু ও কাশ্মীর পাবলিক সেক্টর এমপ্লইস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ফেডারেশন-এর ডাকে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন বেতন না হওয়ায় তাঁদের পরিবারের সদস্যদের না-খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
ফেডারেশনের সভাপতি ওয়াজাহাত হুসেন জানিয়েছেন, 'আমাদে সমানে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, অথচ কোনও বেতন দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের তরফে বারবার নানারকমের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যে সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু মাসের পর মাস ধরে বেতন নেই। আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও না-খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।' তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁদের দুই সহকর্মী জেকে সিমেন্ট-এ চাকরি করতেন, কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা না-করতে পারায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এমনই অবস্থা, টাকার অভাবে নিজেদের চিকিৎসা করানোর পরিস্থিতিও নেই।
এরকম একটি নয়, আরও অনেক পরিবারে একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনেকে আবার ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বসে আছেন। অনেকে সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বিকল্প কাজ করছেন।
ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৬ মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না স্টেট ফরেস্ট কপোর্রেশনে। জে কে সিমেন্টে বেতন দেওয়া হচ্ছে না গত ২২ মাস ধরে। শুধু তাই নয়, হ্যান্ডিক্রাফট কর্পোরেশন ও হ্যান্ডলুম কর্পোরেশনে গত ১২ মাস ধরে কর্মীদের কোনও বেতন দেওয়া হয়নি। যাঁরা গত ২ বছরে কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন, তাঁরাও এই সময়ের মধ্যে কোনও পেনশনও পাননি।
ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, উপত্যকার ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কর্মী তাঁদের বেতন পাননি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন