

সরকার অধিগৃহীত সংস্থা পালাক্কাডের বিইএমএল-কে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্না সোমবার ৪১ দিনে পড়ল। কেন্দ্র এই সংস্থার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা সংস্থার শাখার কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের ধর্নায় বসেছেন। বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি জেলা জুড়ে গড়া হবে মানব প্রাচীর।
পালাক্কাড ইউনিটের কর্মীরা গত ৬ জানুয়ারি থেকে ধর্নায় সামিল হয়েছেন। জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ একটি স্মারকলিপি দিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়, দু'টি ধাপে সংস্থার নিলাম ডাকা হবে। ১,৪০০ কোটি টাকার প্রথম নিলাম ডাকা হবে। যার মধ্যে ২৬ শতাংশ ইকুইটি শেয়ার মোট শেয়ারের থেকে বেসরকারিকরণ করা হবে। শুধু সংস্থার কর্মীরাই নয়, ধর্মায় বসেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষরাও। সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নও এই ধর্নায় সামিল হয়েছে। সঙ্গে চলছে প্রচার। সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস ১২ ফেব্রুয়ারি একটি র্যালির ব্যবস্থা করে বেসরকারীকরণের প্রতিবাদে জনসচেতনতা প্রচার করে। এই র্যালি জেলার বিভিন্ন তালুকে ঘুরে প্রচার করবে।
এই প্রতিবাদসভার মাঝেই একটি জনসভার আয়োজন করা হয় পালাক্কাড কমপ্লেক্সের সামনে। এই সভায় হাজির ছিলেন পালাক্কাডের নির্বাচিত বিধায়ক, জেলা পঞ্চায়েতের সভাপতি, সহ-সভাপতি, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক পঞ্চায়েত এবং মিউনিসিপ্যালিটির সদস্যরাও। এই বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবিলম্বে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন রাজ্যসভার সদস্য ইলামরাম করিম।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন