বর্তমানে ভারতবর্ষ এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে চলেছেন, যেটার মুখোমুখি আগে তাঁরা কখনও হননি। এমন দুর্দশা আগে কখনও আসেনি দেশে। এমনই উদ্বেগের কথা শোনালেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের আম্বেদকর ভবনে সিপিআই(এম) দিল্লি রাজ্য ষোড়শ সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় এদিন বক্তব্য রাখেন তিনি। পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাতও ভাষণ দেন। এই সম্মেলন দিয়েই শুরু হয় সম্মেলনের পর্ব।
তিনি বলেন, মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সব পরিবার। কেউ সংক্রমিত হয়েছেন, কোনও প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। অথবা লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সরকার যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেনি। হাসপাতালে যথেষ্ট অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়নি। টিকাকরণও যথেষ্ট ভাবে হয়নি। যদি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া যায় তাহলে অন্য দিনে যায় না কেন? প্রশ্ন ইয়েচুরির। তিনি বলেন, সরকার আদালতকে জানিয়েছিল ১০০ শতাংশ টিকা দেবে বলে। তারপর বলল ৭০ শতাংশকে দেবে। এখন বলছে ৪০ শতাংশকে দিলেই কাজ হয়ে যাবে।
ইয়েচুরির আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সফরে গিয়ে আরও কী কী বিক্রি করবেন, জানা নেই। ফোর্ডের মতো বিদেশি সংস্থা কারখানা গুটিয়ে নিচ্ছে। জেনারেল মোটর্স, হার্লে ডেভিডসনও তাই করেছে। হার্লে ডেভিডসনের কর ছাড়ের জন্য ট্রাম্প ফোন করেছিলেন। ৪০ কোটি লোক কাজের অপেক্ষায় আছে। অথচ গত এক বছরে মাত্র ৪৫ হাজার নতুন চাকরি তৈরি হয়েছে।
বামনেতার অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় সব সংস্থাকেই ওরা বেসরকারি হাতে বেচে দেবে। এরপর বেসরকারি সংস্থা রাস্তা, ট্রেন, জনপরিষেবা থেকে বেশি মাশুল নেবে। ব্যাঙ্কের সম্পদও লুট হচ্ছে। জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। ইয়েচুরি বলেন, কৃষকরা সংগ্রামের রাস্তায় রয়েছেন। ফেব্রুয়ারির পর সরকার তাঁদের সঙ্গে আর আলোচনা করেনি। তারা ২৭ তারিখ ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছেন। বামপন্থীরা এই আহ্বানকে সমর্থন করেছে। শ্রমিকরাও সমর্থন করেছে। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি লাগাতার সংগ্রামের কর্মসূচি নিয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।