পেগেসাস ব্যবহার করে ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মায় আঘাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী - রাহুল গান্ধী
প্রধানমন্ত্রী আমাদের ফোনে একটি অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর ভারতের গণতন্ত্রের আত্মাকে আঘাত করার জন্য এটিকে ব্যবহার করেছিলেন। এখন সরকার সংসদে আলোচনার জন্য বিরোধীদের তোলা দাবিকে দমন করার চেষ্টা করছে। পেগাসাস প্রসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বুধবার একথা বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
পেগাসাস ফোন-হ্যাকিং কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কৌশল গ্রহণের জন্য রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে আজ বৈঠকে বসেছিলো ১৪টি বিরোধী দল। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "সব বিরোধী দল এখানে রয়েছে। সংসদে আওয়াজ তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে আমাদের। আমরা কেবল জিজ্ঞেস করতে চাই ভারত কী পেগাসাস সফ্টওয়্যার কিনেছিল এবং যদি তাই হয় তাহলে তা কি কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল?"
তিনি আরো বলেন, "আমি জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই - একধরনের অস্ত্র আছে, যা নরেন্দ্র মোদী আপনার ফোনে লাগিয়েছেন। বিরোধী নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের ফোনে লাগিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন - এটা নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত নয় কি? আমরা (বিরোধী) যদি রাজি হয়ে যাই যে পেগাসাস নিয়ে এখানে কোনো আলোচনা হবেনা, তাহলে বিষয়টা সমাধিস্থ হয়ে যাবে। যতক্ষণ না সংসদে এটা নিয়ে আলোচনা না হচ্ছে, আমরা কোথাও যাব না।"
পেগাসাস নিয়ে বিতর্কের জেরে প্রায় প্রতিদিনই মুলতবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধীরা সংসদ চালাতে দিচ্ছে না। এর জবাবে সাংবাদিকদের সামনে রাহুল গান্ধী বলেন, "ওরা বলছেন আমরা সংসদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছি। কিন্তু আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে চাই। এই নজরদারি কাণ্ড গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে।"
বুধবারের এই বৈঠকে কংগ্রেস ছাড়াও উপস্থিত ছিল সিপিআইএম, সিপিআই, আরজেডি, আপ, ডিএমকে, এনসিপি, এনসি, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা। এছাড়াও মুসলিম লিগ, আরএসপি, ভিসিকে, কেরালা কংগ্রেসের ছোট ছোট দলগুলিও অংশ নিয়েছিল এই বৈঠকে। তবে পেগাসাস এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে অংশ নেয়নি তৃণমূল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।