আন্দোলনের ৫২ তম দিনে ত্রিপুরায় বুধবার ভোরে এক বিশাল পুলিশবাহিনী ১০৩২৩ শিক্ষকের অবস্থানমঞ্চ ভেঙে গ্রেপ্তার করলো আন্দোলনরত শিক্ষকদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সারা রাজ্য থেকে চাকুরিচ্যুত শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বাসভবনের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপরেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। শুরু হয় লাঠিচার্জ।
বুধবার সকালে আইজিএম চৌমোহোনীতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জমায়েত শুরু করলে প্রশাসনের তরফে এলাকা ফাঁকা করতে পাঠানো জলকামান। জলকামানের সামনে শুয়ে পড়েন শিক্ষকরা। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে এক সময় সেই জলকামান পিছু হটতে বাধ্য হলেও পরে ফের তা ফিরে আসে এবং বিক্ষোভরত শিক্ষকদের ওপর জলকামান চালানো শুরু হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বক্তব্য অনুসারে – আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা রাখার দাবী জানাচ্ছিলাম। ত্রিপুরার ইতিহাসে এভাবে প্যারা মিলিটারী ফোরস নামিয়ে শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ করা হয়নি। মহিলারাও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি। ত্রিপুরার ইতিহাসে এই ঘটনা এক লজ্জাজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেনি।
গতকালই চাকরি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবীতে ১০৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক বিশাল মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিলো। সিপিআই(এম) ত্রিপুরার পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের কালো দিন। নির্লজ্জ, অহংকারী অমানবিক জোট সরকারের বর্বরতা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।