সমাজের প্রান্তিক মানুষদের আর্থিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ অর্থ মন্ত্রক। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রক উদ্যোগী হয়েছে। সমন্বিত উন্নয়নের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে জাতীয় স্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
প্রথাগত আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র মানুষের সঞ্চয়ের অর্থ নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে তাঁদের অসাধু মহাজনদের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। গ্রামে দরিদ্র মানুষরা যে টাকা পাঠান, তার পুরোটাই যাতে তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছয়, সেটি এর মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হবে। এই লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা চালু করা হয়।
PMJDY–এর সূচনাকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ কোটি ৪ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীর খাতে ১,৪৬,২৩১ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। ২০১৫’র মার্চ মাসে পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট ছিল ১৪ কোটি ৭২ লক্ষ, এবছরের ১৮ অগাস্ট তা প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৩ কোটি ৪ লক্ষ।
জনধন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ৫৫ শতাংশই মহিলা। এ ছাড়াও মোট অ্যাকাউন্টের ৬৭ শতাংশ আকাউন্ট হোল্ডার গ্রামীণ এবং আধা-শহর ও আধা-গ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা।৪৩ কোটি ৪ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৮৬ শতাংশ বা ৩৬ কোটি ৮৬ লক্ষ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে।
পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মধ্যে ৩১ কোটি ২৩ লক্ষ রুপে কার্ড দেওয়া হয়েছে। কোভিড লকডাউনের সময় মহিলা পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের পিএম গরিব কল্যাণ যোজনার ৩০,৯৪৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে প্রায় ৫ কোটি ১০ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নানা সুবিধা পেয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।