রাস্তার ওপর গজাল-পেরেক, কাঁটাতারের বেড়া, কয়েক স্তরীয় সিমেন্টে ব্যারিকেড, হাজার সশস্ত্র পুলিশ - আন্দোলনরত কৃষকদের আটকাতে দিল্লি সীমান্ত যেভাবে ঘিরেছে পুলিশ, তা আন্তর্জাতিক সীমানাকেও হার মানাবে। সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজীপুর - আন্দোলনের মূল কেন্দ্রবিন্দু এই তিন জায়গায় সোমবার থেকে প্রচুর পুলিশ ও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা সহ একাধিক বিরোধী নেতৃত্ব।
সিঙ্ঘু সীমান্ত
সিঙ্ঘু সীমান্তে পুলিশের নজরদারিতে সোমবার কয়েকজন শ্রমিককে মূল হাইওয়ের ওপর সিমেন্টের ব্যারিকেডের দুই সারির মাঝে লোহার রড বসাতে দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধরা পড়েছে। এই ব্যারিকেডের মাঝেই তিন-চার স্তরের কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। এর পিছনে আবার কংক্রিটের ব্যারিকেডের মাঝে ঢালাই হচ্ছে। এখান থেকে কিছুটা দূরে হাইওয়ের ওপরেই একটি ছোট পরিখা কেটে তার দুধারে সিমেন্টের ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে।
গাজীপুর সীমান্ত
এই মুহূর্তে গাজীপুর সীমান্তকে সেনা ছাউনি বললে ভুল কিছু বলা হবে না। কয়েকশ পুলিশ কর্মী ও র্যাফের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা সর্বক্ষণ পাহারা চালাচ্ছেন। ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। যানবাহন চেকিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এখানেও বহুস্তরীয় ব্যারিকেড ও কাঁটাতার ব্যবহার করা হয়েছে।
টিকরি সীমান্ত
টিকরিতে এই চিত্র আরো ভয়ঙ্কর। কৃষকদের ট্র্যাক্টর আটকে দেওয়ার জন্য কয়েক স্তরীয় সিমেন্টের ব্যারিকেড ছাড়াও রাস্তার ওপর সিমেন্ট দিয়ে পেরেক-গজাল বিছিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, এতে যথাযথ অনুমতি ব্যতীত কোনো গাড়ি আন্দোলনস্থলের কাছে আসতে পারবে না।
এই সমস্ত কিছু করা হয়েছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা যাতে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে। কিন্তু পুলিশের এই ব্যবস্থাকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না কৃষকরা। আগামী শনিবার দেশজুড়ে তিনঘন্টার জন্য 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।