
‘মোদীর লক্ষ্য ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ’! কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির সরাসরি সমালোচনা করলেন কংগ্রেসে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, তিনটি গোপন উদ্দেশ্যপূরণের লক্ষ্যেই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ।
কেন্দ্র সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। এবার সরাসরি এই নীতির সমালোচনা করে সোনিয়া বলেন, “এর মূল লক্ষ্য হল ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ, বেসরকারি পুঁজি এনে শিক্ষাব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণ ও আউটসোর্সিং এবং পাঠ্যপুস্তকের সাম্প্রদায়িকীকরণ”।
সোনিয়ার অভিযোগ, তিনটি ‘সি’ (কেন্দ্রীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ এবং সাম্প্রদায়িকীকরণ অর্থাৎ সেন্ট্রালাইজেশন, কমর্শিয়ালাইজেশন এবং কমিউনালাইজেশন) –এর উপর নির্ভর করে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে খুন করার অপচেষ্টাকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে”।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অভিযোগ, করোনাকালে বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই শুধু সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়েই প্রকাশিত হয়েছিল ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’। নতুন শিক্ষানীতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে জোর দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, এর ফলে ধনী ও গরিব বাড়ির পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হবে।
সোমবার সোনিয়া গান্ধী বলেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির শিক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত ‘কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ড’ (সিএবিই)-র বৈঠক ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর ডাকাই হয়নি। এ ভাবেই রাজ্যগুলির উপর একতরফা ভাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে”।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ২০২৫ সালের নির্দেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের ভূমিকা খর্ব করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সোনিয়া গান্ধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন