

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে শুক্রবার বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজ চেনাব ব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে শ্রীনগর-কাটরা রেলপথেরও উদ্বোধন করেন মোদী। যে লাইন দিয়ে ছুটবে বন্দে ভারত।
চেনাব রেলব্রিজ হল বিশ্বের উচ্চতম আর্চ ব্রিজ। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার চন্দ্রভাগা নদীর উপর দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ব্রিজটি। রিখটার স্কেলে আট মাত্রার ভূমিকম্পও স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে তৈরি এই ব্রিজকে টলাতে পারবে না। এমনকি বড়সড় কোনও বিস্ফোরণে ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই।
চেনাব ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১.৩ কিলোমিটার। এই সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৪০০ কোটি টাকা। চন্দ্রভাগা নদী থেকে এই সেতুর উচ্চতা ৩৫৯ মিটার (১১৭৭.৮২ ফুট)। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটতে পারবে এই সেতুর উপর দিয়ে। রেল আধিকারিকদের কথায়, সন্ত্রাসবাদী হামলা ও ভূমিকম্পের জন্য ব্রিজে রয়েছে সুরক্ষা প্রণালী। এই সেতু ১২০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে দাবি নির্মাতাদের।
এই রেল ব্রিজের উদ্বোধনের ফলে শুক্রবার থেকেই কাটরা পর্যন্ত রেলপথও চালু হয়ে গেল। বিশ্বের বাকি অংশের সঙ্গে এ বার রেলপথে জুড়ল কাশ্মীর। যার ফলে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণদেবী মন্দিরের নিকটবর্তী কাটরা স্টেশনে পৌঁছানো যাবে খুব সহজেই। মাত্র তিন ঘণ্টায় কাটরা থেকে শ্রীনগর পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। এই নতুন লাইন দিয়ে চলবে দু'টি বন্দে ভারত। এদিন সেটারও উদ্বোধন করেন মোদী।
এছাড়া শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু’ অঞ্জি ব্রিজের উদ্বোধন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীও। জাতীয় পতাকা হাতে সেতুর উপর দিয়ে হেঁটেছেন মোদী। এই ব্রিজটি নদীর তলদেশ থেকে ৩৩১ মিটার উঁচু এবং ৭২৫ মিটার দৈর্ঘ্যে বিস্তৃত। এটিতে একটি তারের সুতা রয়েছে। যার কাজ মাত্র ১১ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এই উদ্বোধনের পর কাটরার একটি জনসভায় ভাষণ দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘যত ভাল কাজ রয়েছে, তা আমার জন্যই পড়েছিল। আমার সরকারের সৌভাগ্য যে এই প্রকল্প আামাদের সময়কালেই গতি পেয়েছে এবং আমরা এটা শেষ করে দেখিয়েছি।’’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন