

টিকা নেওয়ার পরেও যাতে সঠিকভাবে কোভিড-বিধি অনুসরণ করা হয় সেই বার্তা দিতেই কোভিড ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও তাঁর বিবৃতি দেওয়া হয়। ভ্যাকনিসেশন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে কার্যত সাফাইয়ের সুরে রাজ্যসভায় একথা জানালো সরকার।
বিরোধীদের অভিযোগ ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ। বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচার করছেন। এমনকি পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী শাসিত রাজ্য তাদের রাজ্যবাসীকে দেওয়া সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সরিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রককে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোভিড ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রিন্ট করা প্রয়োজনীয় এবং বাধ্যতামূলক কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার লিখিতভাবে জানিয়েছেন, মহামারীর প্রেক্ষাপটে এবং তার ক্রমবর্ধমান বিকশিত রূপে একথা সত্য যে উপযুক্ত কোভিড বিধি মেনে চলাই এই রোগের বিস্তার রোধে অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা। কোভিড ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর বার্তার সাথে তাঁর যে ছবি থাকে তা বৃহত্তর জনস্বার্থে সতর্কতা তৈরির উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোভিড টিকা নেওয়ার পরেও উক্ত ব্যক্তি সঠিকভাবে কোভিড আচরণ বিধি মেনে চলেন।
তিনি আরো বলেন, এইধরনের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
সরকারের তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে, CoWIN অ্যাপের ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেটের ফর্ম্যাটগুলি মানসম্মত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ক্রমবর্ধমান নির্দেশিকাগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন