

পেগাসাস নজরদারি নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, 'মানুষ এখন জানেন 'আপনার ফোনে কে আড়ি পাতছে।' অন্যদিকে, বিজেপি সুব্রমনিয়ান স্বামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
টুইটে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, 'আমরা জানি তিনি আপনার ফোনে ঠিক কি দেখতে চাইছেন। হ্যাশট্যাগ পেগাসাস।' আগের পোস্টের সঙ্গে এই পোস্টটি ট্যাগ করে দেন রাহুল। তিন দিন আগেই রাহুল গান্ধি টুইটে লিখেছিলেন, 'আপনারা কী পড়ছেন, তা জানতে ইচ্ছে করে।' এ দিন সেই টুইটের সূত্র টেনেই লেখেন, 'আমরা জানি উনি কী পড়ছিলেন, আমাদের ফোনের সমস্ত তথ্য।'
স্বামী টুইট করে বলেন, 'এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার জন্য যদি বলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাহলে ইজরায়েলি কোম্পানি দেশের মানুষের ফোনে আড়ি পাতছে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তা না হলে, জলের মতো আসল সত্যিটা বেরিয়ে এসে বিজেপির ক্ষতি করবে।' এই বিষয়ে সিপিআই(এম)-ও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'বেআইনি আড়িপাতার ঘটনা ফের একবার প্রকাশ্যে এল।'
পাশাপাশি, আসাদুদ্দিন ওয়েইসি টুইট করে বলেন, 'পেগাসাস মূলত হ্যাকিংয়ের কাজ করে থাকে। যা একেবারে বেআইনি। হ্যাকিং অপরাধ, তা সে কোনও ব্যক্তি করুক বা সরকার করুক না কেন। সরকারের উচিত ২টি বিষয় প্রকাশ্যে নিয়ে আসার। ১. কোনও এনএসও স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল কি? ২. কোনও নির্দিষ্ট নিউজ রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মানুষকে কি নিশানা করা হচ্ছে?
গতকাল দ্য ওয়ারে পেগেসাস স্পাইওয়ার প্রসঙ্গে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর থেকেই উত্তাল হয়েছে দেশের বিভিন্ন মহল। ভারতের দ্য ওয়ার ছাড়াও এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। যে প্রতিবেদনে দাবি করে হয়েছে কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, একাধিক ভারতীয় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সরকারি আধিকারিকদের ফোনে ইজরায়েলী স্পাইওয়ার পেগেসাসের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, এই তালিকায় দেশের ৩ প্রধান বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি, ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, নিরাপত্তা কর্মী, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, মানবাধিকার কর্মী এবং বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক আছেন। ইজরায়েলী কোম্পানি এনএসও গ্রুপ, যারা এই পেগাসাস বিক্রি করে, তাদের দাবী তারা কেবল নির্বাচিত সরকারকেই এই সব স্পাইওয়্যার সরবরাহ করে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন