

পেগাসাস নজরদারির তদন্ত চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চালানোর আর্জি জানান কেরল থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার এই সংসদ। সর্বোচ্চ আদালতে জনস্বার্থ আবেদন পেশ করে তিনি বলেন, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারির ঘটনা দেশজুড়ে আশঙ্কা তৈরি হলেও কেন্দ্র এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
এমনকী সংসদেও কোনও স্পষ্ট জবাব দিচ্ছে না। পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিরোধী, প্রতিবাদী সমাজকর্মী, বিজ্ঞানীদের মোবাইলে আড়ি পাতার ঘটনায় দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর হলেও সংসদে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সেরকম গুরুত্ব দিতে নারাজ। তার বদলে নাম গোল গোল কথা শোনাচ্ছে। স্বীকার করছে না, আবার অস্বীকারও করছে না। সাংসদের মতে, হয় কেন্দ্রীয় সরকার এই স্পাইওয়্যার কিনে নজরদারি চালিয়েছে অথবা কোন বিদেশি কোম্পানি এই কাজ করেছে। সরকার এই কাজ করলে তা বেআইনিভাবে হয়েছে। আর কোনও বিদেশি কোম্পানি করলে তা বিদেশি আগ্রাসনের সমার্থক। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিতে হবে।
ভারতীয় নাগরিকদের ফোনে আড়িপাতা এবং নজরদারি ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে গোটা দেশেই আলোড়ন তৈরি হয়। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও জানিয়ে দিয়েছিল, একমাত্র সরকারই এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনতে পারে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি ভারত সরকার কিনেছে? যদি না কেনে, তাহলে কিনল করা? সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ লম্বা বিবৃতি দিলেও তাতে স্পষ্ট কোনও কিছুরই উল্লেখ ছিল না। তাঁর দাবি, এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। ভারতীয় গণতন্ত্রের গায়ে কালি ছেটাতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারত এই সফটওয়্যার কিনেছে কিনা সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট জবাব দেননি তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন