Pegasus: স্পাইওয়ারের মাধ্যমে নজরদারির ইস্যুতে বিরোধী আক্রমণের মুখে সাফাই কেন্দ্রের

কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সমাধান করা হয়।
Pegasus: স্পাইওয়ারের মাধ্যমে নজরদারির ইস্যুতে বিরোধী আক্রমণের মুখে সাফাই কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র
Published on

ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস দেশের ৩০০ জনের মোবাইল ফোনে পাওয়া গিয়েছে বলে রবিবারই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। দুই মন্ত্রী ও ৪০-এর বেশি সাংবাদিকের মোবাইল ফোনেও এই স্পাইওয়্যার পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। মূলত, সরকারি সংস্থাগুলোকেই হ্যাকিং করার জন্য ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়ে থাকে। এমন বিতর্কের মাঝেই দায় ঝাড়তেও উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র।

ভারতীয় গণতন্ত্র ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য অতিরঞ্জিত কিছু খবর প্রকাশ্যে এনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সমাধান করা হয়। কিন্তু তারপরেও যখন কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়, তার মানে এর পিছনে নিশ্চয়ই কিছু ব্যাপার রয়েছে। তদন্তকারীর ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করা হচ্ছে এমনটা করে। এমনকী, বিচারকের ভূমিকাও নেওয়া হচ্ছে।

উত্তরে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, ভারতে ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের জন্য বেশ কিছু আইনসিদ্ধ নিয়ম রয়েছে। যেখানে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। বিশেষ করে যেখানে সাধারণের নিরাপত্তার বিষয়টি রয়েছে।যে কোনও তথ্যের বিষয় খতিয়ে দেখতে নির্দিষ্ট কিছু আইনি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে। তার বাইরে কিছুই করা হয় না।

উল্লেখ্য, কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, একাধিক ভারতীয় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সরকারি আধিকারিকদের ফোনে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগেসাসের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। দ্য ওয়ারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই তালিকায় দেশের ৩ প্রধান বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি, ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, নিরাপত্তা কর্মী, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, মানবাধিকার কর্মী এবং বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক আছেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in