

পেগাসাসের নজরদারির তালিকায় দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা মহিলার ফোন নম্বরও ছিল। পেগাসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে ভারতের অনলাইন নিউজ পোর্টাল The Wire সহ বিশ্বব্যাপী একাধিক মিডিয়া যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। মিডিয়াগুলো কর্তৃক প্রকাশিত নতুন তালিকায় ওই মহিলার ব্যবহৃত তিনটি ফোন নাম্বার রয়েছে।
Wire-এর মতে, গগৈয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা মহিলার তিনটি নম্বর ছাড়াও তাঁর পরিবারের মোট ৮টি নাম্বার হ্যাক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫টি নাম্বার তাঁর স্বামীর এবং বাকি তিনটি নাম্বার তাঁর দুই দেওর ব্যবহার করেন।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন শীর্ষ আদালতের ওই মহিলা কর্মী। এর জেরে ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে চাকরি খোয়ান ওই মহিলা।
এই তদন্তের সাথে জড়িত ফ্রান্সের অপর একটি সংস্থা ফরবিডন স্টোরিজ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের ২২ জন বিচারপতির কাছে হলফনামা মারফত যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানানোর কয়েক দিন পরেই ওই মহিলার ফোন নম্বর হ্যাক করা হয়। সাথে সাথে তাঁর পরিবারের বাকি ফোন নম্বরগুলোকেও নিশানা করা হয়।
মহিলার অভিযোগের বিচার করতে রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে একটি ইন-হাউস কমিটি গঠন করা হয়। গগৈ নিজেই নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। এই ঘটনার সময় ওই মহিলার স্বামী ও দেওর, যাঁরা দিল্লি পুলিশে কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এনে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
এই ঘটনার কয়েকমাস পরে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঐতিহাসিক রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেন রঞ্জন গগৈ, যা রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে যায়। এই রায় ঘোষণার পরই অবসর নেন গগৈ এবং তাঁর কয়েকদিন পরেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে বিজেপি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন