
কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে দিল্লি বিমানবন্দরে রায়পুরগামী একটি বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরেই গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে টারম্যাকে বসেই বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।
এদিন দিল্লি বিমানবন্দর সাক্ষী থাকল নজিরবিহীন ঘটনার। কংগ্রেস নেতাকে শুধু বিমান থেকে নামানোই নয়, তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হল। কংগ্রেস ট্যুইট করে সেই খবর প্রকাশ্যে এনেছে। ট্যুইটার ভিডিওতে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া শ্রীনাতকে বলতে শোনা যায়, "বাসে পবন খেড়া মহাশয় ও রণদীপ সিংহ সূুরজেয়ালাকে আসাম পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই এনারা কী অপরাধ করেছেন যার জন্য এখানে আটক করা হচ্ছে?"
কংগ্রেসের আরেক নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, আমরা সবাই ইন্ডিগো বিমানে করে রায়পুর যাচ্ছিলাম। সেই সময় বিমান থেকে নামানো হয় পবন খেরাকে। জানা যায় আসাম পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। আমরা তখন বলি অবশ্যই গ্রেপ্তার করবেন কিন্তু তাঁর আগে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখাতে হবে। কোনো কিছু না দেখিয়েই বেআইনি ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও আসাম পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে বিমান আটকে রেখেছে।
কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর যাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর একটি বিমানে উঠেছিলেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তাঁর সাথে কেসি বেনুগোপাল, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, সুপ্রিয়া শ্রীনাত সহ দলের অন্যান্য নেতারাও ছিলেন। অভিযোগ, বোর্ডিং পাস থাকা সত্ত্বেও, পবন খেরাকে বিমান থেকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে বাকি নেতারাও বিমান থেকে নেমে যান। বিমানের ঠিক পাশে টারম্যাকে বসেই বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। 'বিজেপি হায় হায়’ স্লোগান দিতে থাকেন।
পবন খেরা বলেন, "আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার লাগেজ নিয়ে সমস্যা আছে। যদিও আমার কাছে হাতের একটি ব্যাগ ছাড়া আর কিছু ছিল না। বিমান কর্তৃপক্ষ আমাকে বলল, আমি বিমানে যেতে পারবো না। তারপর বলল যে, ডিসিপি (পুলিশ কমিশনার) আমার সাথে দেখা করবেন। আমি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এখানে আইনশৃঙ্খলার কোনও চিহ্নই নেই।"
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পবন খেরার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাঁকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার নির্দেশনা ছিল তাদের কাছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আদানি-হিন্ডেনবার্গ কাণ্ড নিয়ে যৌথ সংসদীয় তদন্তের (JPC) দাবি করার সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর বদলে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদী বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এক বিজেপি নেতা খেরার গ্রেফতারি চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন। সেই ঘটনার জেরেই আজ খেরাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন