সরকার কোনও আলোচনা বা বিতর্ক চায় না। সোমবার একথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এদিনই রাজ্যসভায় বিরোধীদের পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধি এবং ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘট নিয়ে আলোচনার জন্য দাবি জানানোর পরে চেয়ারম্যান অধিবেশন স্থগিত করে দেন।
সংসদের উচ্চকক্ষে কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ বলেন, "সত্যিই আশ্চর্যজনক যে সকাল ১১ টার কিছু পরে বিরোধী সাংসদরা মূল্যবৃদ্ধি এবং ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘট সংক্রান্ত বিষয়গুলি উত্থাপন করার সাথে সাথে মাননীয় চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে রাজ্যসভা মুলতবি করে দেন। স্পষ্টতই, মোদী সরকার কোনো আলোচনা বা বিতর্ক চায় না।"
বর্ধিত জ্বালানি, এলপিজির দাম, মূল্যস্ফীতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে রাজ্যসভা ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম এবং সিপিআই-এম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সোমবার রাজ্যসভায় সারা দেশে শ্রমিকদের ডাকা দুই দিনের দেশব্যাপী ধর্মঘট নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিধি ২৬৭-এর অধীনে সাধারণ কার্যক্রম স্থগিতের নোটিশ দেন। এই শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্পোরেশন এবং বেসরকারীকরণ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।
ডিএমকে সদস্য টি. শিভা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান জ্বালানির বর্ধিত দাম নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিশ দিয়েছেন৷
সকাল ১১ টায় অধিবেশন শুরুর পর চেয়ারম্যান এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু কক্ষকে জানান যে বিরোধী বেঞ্চের কিছু সদস্য 'জিরো আওয়ার'-এ জ্বালানি, এলপিজি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার নোটিশ দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তিনি নোটিশের মাধ্যমে এই আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নাইডু বলেন, "ডিএমকে সদস্য টি. শিভা, এআইটিসি ডেরেক ও'ব্রায়ান, সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম এবং সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং অন্যরা জিরো আওয়ারে জ্বালানি, এলপিজি এবং অন্যান্য ইস্যুতে বর্ধিত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নোটিশ দিয়েছেন। সেই নোটিশ আমার কাছে রয়েছে। তাঁদের সেই আবেদন নোটিশের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।”
চেয়ারম্যান এই নোটিশ প্রত্যাখ্যান করায়, বিরোধী সদস্যরা তাদের দাবিগুলির সমর্থনে আলোচনা চেয়ে প্রতিবাদ জানান এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। এর পরেই চেয়ারম্যান নাইডু ১২ টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করে দেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।