

সোমবারের পর মঙ্গলবারের চলছে সাসপেনশনের পালা। এদিন সকালে সংসদের দুই কক্ষ থেকে ৪৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে আছেন কংগ্রেসের শশী থারুর ও কারতি চিদাম্বরম, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব প্রমুখ। দুপুর ২টো পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীরা লাগাতার সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করায় সংসদের দুই কক্ষে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়। এখনও পর্যন্ত গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়া এবং হলুদ রঙ স্প্রে করার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার সংসদের দুই কক্ষ থেকে দফায় দফায় ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। মঙ্গলবারের সাসপেনশনের পর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোট সাসপেনশনের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪১। যা সংসদীয় ইতিহাসে সর্বাধিক।
সোমবার ৪৫ জন সাংসদকে বরখাস্ত করার ঘোষণা করার পরে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বলেন, অনেক সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে চেয়ারম্যানকে উপেক্ষা করছেন। বারবার বাধা পাওয়ার কারণে সংসদ ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না।
বিরোধীদের স্থগিতাদেশের জেরে সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশন দিনের মত মুলতবি হয়ে যায়। এর আগে, লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ ৩৩ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন