

বিহারে শিশু নিখোঁজের ঘটনা ক্রমাগত উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। গত তিন বছরে প্রতিদিন গড়ে ১৫টিরও বেশি শিশু নিখোঁজ হয়েছে নীতিশ কুমারের রাজ্যে। আজ মঙ্গলবার, বিহার পুলিশের প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে ভয়ঙ্কর এই তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, বিহার পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ গত তিন বছরে মোট ১৬,৫৫৯ টি শিশুর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। এদের মধ্যে ৭,২১৯ জন শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এরা হয় নিজেই বাড়িতে ফিরে এসেছে বা রাজ্য পুলিশ তাদের সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু ৯,৩৪০ জন শিশু অর্থাৎ প্রায় ৫৫ শতাংশ ৯,৩৪০ শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
২০২১ সালে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মোট ৬,৩৯৫ জন শিশুর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ২,৮৩৮ জন শিশুকে খুঁজে পাওয়া গেছে বা তারা নিজেদের বাড়ি ফিরেছে। বাকি ৩,৫৫৭ জন শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলেই জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র মারফত জানা গেছে, ২০২০ সালে বিভিন্ন থানা এবং রেলওয়ে পুলিশে ২,৮৬৭ জন শিশুর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে মাত্র ১,১৯৩ জন বাড়ি ফিরেছে বা রাজ্য পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে।
২০১৯ সালে নিখোঁজ শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। বিভিন্ন থানায় মোট ৭,২৯৭টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৩,১৮৮ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বা তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪,১০৯ জন শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
বিহারের রাজধানী পাটনা সহ গয়া, ভাগলপুর, মতিহারী, বৈশালী, মুজাফফরপুর, সারান, গোপালগঞ্জ এবং রোহতাস জেলা থেকে বেশিরভাগ শিশু নিখোঁজের ঘটনার খবর এসেছে। এই জেলাগুলিতে প্রতি বছর গড়ে ২০০ জন শিশু নিখোঁজ হয়।
পাটনা পুলিশ ২০২১ সালে ৮৩০ জন, ২০২০ সালে ৩৬০ জন এবং ২০১৯ সালে ৮৭০ জন শিশুর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করেছিল৷ ৫০ শতাংশেরও কম শিশু পাটনায় পুনরুদ্ধার করা গেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন