ভারতীয় রেলের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতীয় রেলের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছবি - সংগৃহীত

রেলের অধীনস্থ ৯৪টি স্কুল বন্ধের নির্দেশ, ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন পড়ুয়া সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারাও

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল চালু রাখতে চাইলে তার কারণ বলতে হবে। কিন্তু স্কুলে কোনও নিয়োগ হবে না, কর্মীদের প্রমোশনও হবে না। এই নির্দেশিকাকে শিক্ষামহল স্কুল বন্ধের পরোক্ষ নির্দেশ বলেই মনে করছে।

এবার গোটা দেশেই রেলের অধীনস্থ বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। প্রায় প্রতি মাসেই স্কুল বন্ধ বা সংযুক্তিকরণ নিয়ে রেলওয় বোর্ড নির্দেশিকা জারি করছে। অভিযোগ, এমনভাবে নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে, যাতে কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এরকম স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৯৪টি। কবে স্কুল বন্ধ করতে চাইছেন, তার তারিখ জানতে চেয়ে রেলওয়ে বোর্ডের প্রিন্সিপাল এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রেলের সব জেনারেল ম্যানেজারদের গত সপ্তাহে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ স্কুল চালু রাখতে চাইলে তার কারণ বলতে হবে। কিন্তু স্কুলে কোনও নিয়োগ হবে না, স্কুলের কর্মীদের প্রমোশনও হবে না। এই নির্দেশিকাকে শিক্ষামহল স্কুল বন্ধের পরোক্ষ নির্দেশ বলেই মনে করছে। কপালে ভাঁজ পড়েছে অসংখ্য পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের। শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে যদি এভাবে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষামহল। নিজেদের ভবিষ্যৎ ভেবে উদ্বিগ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।

এই ইস্যুতে রেলের শ্রমিক সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, অর্থমন্ত্রক থেকেই রেলমন্ত্রককে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্কুল চালানোর দায় নেবে না রেল। হয় রাজ্য সরকারকে, নয়তো কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের বরিষ্ট জনসংযোগ আধিকারিক অলোক কুমার বলেন, নির্দেশিকা এসেছে। তবে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী নির্দেশিকার কথা স্বীকার করেছেন।

আসানসোলের ইস্টার্ন রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি আসানসোলের প্রথম বাংলা মাধ্যম হাইস্কুল। এই স্কুলেরই প্রাক্তন পড়ুয়া সাহিত্যিক নারায়ণ স্যানাল, বিমল কর।
স্কুলের প্রাক্তনী লেখক বিশ্বনাথ মিত্র বলেন, স্কুল বন্ধ হলে ব্যথিত হব। আসানসোল ডিভিশনেই এই স্কুল ছাড়া আসানসোল ও অণ্ডাল, চিত্তরঞ্জননা চারটি, মালদহ ডিভিশনের সাহেবগঞ্জ ও জামালপুর, লিলুয়া, পুরুলিয়ার আদ্রায় তিনটি, খড়্গপুরে তিনটি, শিলিগুড়ি মিলিয়ে প্রায় ২০টি স্কুল রয়েছে এরাজ্যে।

রেলের একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, আমরা সত্যি আশঙ্কায় রয়েছি। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য সুধীর রায় বলেন, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা হতে দেওয়া যায় না।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in