Monsoon Session: অগ্নিপথ থেকে জিএসটি বৃদ্ধি, আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ বিরোধীদের, উত্তাল সংসদ

গত সোমবার প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা সমস্ত খাবারের উপরে অতিরিক্ত জিএসটি চাপিয়েছে কেন্দ্র। ফলে প্যাকেট জাত চাল, ডাল, মুড়ির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে।
ধর্নায় বিরোধীরা
ধর্নায় বিরোধীরাছবি -সংগৃহীত
Published on

অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath scheme) এবং জিএসটি (GST) বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। এ জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভা- উভয়কক্ষেই নোটিশ পাঠিয়েছে বিরোধীরা।

সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর মঙ্গলবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাদল (Mansoon) অধিবেশন। এই অধিবেশনের শুরুতেই প্রথমে অগ্নিপথ এবং জিএসটি নিয়ে আলোচনা, তারপরে অন্য বিষয়ে আলোচনার দাবি তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর।

শুধু তাই নয়, অধিবেশন শুরু হতেই মূল্যবৃদ্ধি ও প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের উপরে জিএসটি বসানো নিয়ে সংসদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস থেকে শুরু করে শিবসেনা, টিআরএস- সবকটি দলই ধর্নাবিধি অমান্য করে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

গত সোমবার প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা সমস্ত খাবারের উপরে অতিরিক্ত জিএসটি চাপিয়েছে কেন্দ্র। ফলে প্যাকেট জাত চাল, ডাল, মুড়ির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী রাজনীতিকরা।

কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর।
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর।

নোটিশে কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর লিখেছেন, 'অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি চাপানো নিয়ে আলোচনা দরকার। এটি সকল নাগরিক, বিশেষ করে দরিদ্রদের প্রভাবিত করবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উপর জিএসটি চাপানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে হবে সরকারকে।'

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, 'অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং প্যাকেটজাত খাদ্যশস্য, দই, মাখন, দুধ ইত্যাদির উপর ৫ শতাংশ জিএসটি চাপানোর যে মনোভাব সরকার দেখাচ্ছে, তাতে সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।'

মানিকম ঠাকুর লিখেছেন, 'এই যন্ত্রণা গরীবের রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। জোর করে জিএসটি চাপালে, সরকারের প্রতি দরিদ্র মানুষের অনাস্থা তৈরি হবে। কেননা, মুদ্রাস্ফীতির জেরে এমনিতেই আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।'

নোটিশে লেখা হয়েছে, 'এটি (GST চাপানো) দেশের খাদ্যশস্য বাণিজ্যে একাধিক প্রভাব ফেলবে। অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা নিয়ে জীবনযাপন করতে বাধ্য করবে সাধারণ মানুষকে। সরকারের এই মনোভাব, আবারও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অতএব, হাউসের উচিত- সরকারের বিবেচনাধীন জিএসটি আরোপ নিয়ে আলোচনা করা এবং সরকারকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া।'

অন্যদিকে, অগ্নিপথ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) 'ক্ষতিকর প্রভাব' এবং রেলে নিয়োগ সংকোচন নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যসভায় দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) সাংসদ মনোজ ঝা (MP Manoj Jha)। সংসদ বিধি-২৬৭ এই অধীনে এই প্রকল্পগুলি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দর এস. হুডা (Deepender S. Hooda)।

এদিন বিরোধীদের চাপে লোকসভার অধিবেশন বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করে দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা।

ধর্নায় বিরোধীরা
Loan Waivers: ২০১৪ সাল থেকে দেশে মাত্র ৫০ শতাংশ কৃষকের ঋণ মকুব হয়েছে - সমীক্ষা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in