ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফায়দা সব শ্রেণি সমানভাবে পায়নি - মুকেশ আম্বানি

তাঁর মতে, ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফায়দা সমাজের সব শ্রেণির উপরে পড়েনি। ভারতের অর্থনৈতিক মডেল এমন হতে হবে যাতে দরিদ্র শ্রেণিও এর থেকে উপকৃত হতে পারে।
মুকেশ আম্বানি
মুকেশ আম্বানিফাইল ছবি সংগৃহীত

ঠিক তিন দশক আগে ভারতে শুরু হয়েছিল উদার অর্থনীতিকরণ। ৩০ বছর পরে সেই মুহূর্তকে স্মরণ করে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি ধরলেন কলম। দিলেন দেশের সম্পদ বৃদ্ধির নতুন নতুন পথের হদিশ। তাঁর মতে, এই পথে চললেই ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে আমেরিকা, চিনের মতো ধনী দেশ হয়ে উঠতে পারবে।

এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রিলায়েন্স কর্নধার। জানিয়েছেন, গত তিন দশকে ভারতের জিডিপি বহু গুণ বেড়েছে। ঝাঁ চকচকে হাইওয়ে, বিমান বন্দর হদিশ দিচ্ছে কীভাবে উন্নতির শিখরে ওঠার যাত্রা শুরু করে দিয়েছে দেশ। এইবার সময় এসেছে উন্নতির পথকে আরও গতিশীল করে তো‌লার। তাঁর মতে, ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফায়দা সমাজের সব শ্রেণির উপরে পড়েনি। ভারতের অর্থনৈতিক মডেল এমন হতে হবে যাতে দরিদ্র শ্রেণিও এর থেকে উপকৃত হতে পারে।

এর পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, আগামী ৩০ বছরে পৃথিবীতে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে তা গত ৩০০ বছরেও আসেনি। প্রথম শিল্প বিপ্লবের ফায়দা ভারত নিতে পারেনি। কিন্তু তৃতীয়বারে সফল হয়েছিল। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতা হওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে দেশ আরও অনেক উন্নতি করতে পারবে বলেই আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

সেই সঙ্গে আম্বানির আবেদন, সম্পদ বলতে আমরা যা বুঝি সেই ধারণাকেও বদলানোর সময় এসেছে। এতদিন সম্পদকে মূলত ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক আকারেই ধরা হয়ে এসেছে। কিন্তু এবার সময় এসেছে সমষ্টিগত সম্পদের। সকলের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রোজগার, গৃহ ও আরও বহু কিছু প্রয়োজন। সোজা কথায় সকলের জন্য উন্নয়ন চাই। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব বাণিজ্যেও পড়বে। সেই সঙ্গে বাণিজ্যিক উদ্যোগের চেহারাও বদলানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আম্বানি।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in